বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ড.এফ দীপংকর মহাথের (৫৩) ধুতাঙ্গ ভান্তের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর ভাইয়ের মামলার আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান এই আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, হ্যাপি চাকমা ও তাঁর স্বামী এমিল তঞ্চগ্যা এবং জনারণ্য ভিক্ষু। এদের মধ্যে হ্যাপি চাকম দীপংকর মহাথের ভান্তের প্রধান সেবিকা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ রাশেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৌদ্ধদের ভিক্ষুকূল গৌরব, ধুতাঙ্গসাধক ড. এফ দীপংকর মহাথের ধুতাঙ্গ ভান্তেকে রশিতে ঝুঁলিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে আদালতে একটি মামলার আবেদন করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি দায়ের করেন হত্যার শিকার ড. এফ দীপংকর মহাথের ধুতাঙ্গ ভান্তের ভাই কাজল বড়ুয়া (মহাকশ্যপ ভিক্ষু)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরিকল্পিতভাবে ড. এফ দীপংকর মহাথের ধুতাঙ্গ ভান্তেকে হত্যা করা হয়েছে। ভান্তের বাম পায়ের হাঁটুতে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই দুপুরে বান্দরবানের কালাঘাটা গোদারপাড় এলাকার আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে একটি কুঠিরের লোহার সিলিংয়ের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ড. এফ দীপংকর মহাথের ধুতাঙ্গ ভান্তের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় আসামিরা অসংলগ্ন আচরণ করেন। এমনকি মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্থানীয়রা কুঠিরে ঢুকতে চাইলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ঘণ্টাখানেক পর স্থানীয় পুলিশ আসলে গণমাধ্যমকর্মীদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পরদিন (১৪ জুলাই) বান্দরবান জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ তার জন্মস্থান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ফরাঙ্গীরখীল গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মরদেহ ফ্রিজারে সংরক্ষিত আছে।