০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে পাশ্চাত্য দার্শনিকদের কিছু মন্তব্য

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে

বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষের গবেষণার শেষ নেই। এশীয় খণ্ডের লোকেরা যতটুকু গবেষণা করেছেন বা করে চলেছেন, তারচেয়েও অধিক গবেষণা করে চলেছেন আধুনিক পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক ও দার্শনিকগণ। যে সকল পশ্চিমা দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিকগণ বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে নিরন্তর গবেষণা করে সেগুলির নির্যাস স্বরূপ উক্তি প্রদান করেছেন তন্মধ্যে এখানে কয়েকজন প্রমুখ দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিকের বিখ্যাত উক্তি নিম্নে উপস্থাপন করা হল।
১) বিশ্ববিখ্যাত রাশিয়ান লেখক লিও টলস্টয় ( ১৮২৮-১৯১০) লিখেছেন যে-‘ বুদ্ধ এবং তাঁর ধর্মই একদিন পৃথিবীব্যাপী রাজত্ব করবে। কেননা এখানে রয়েছে জ্ঞান এবং বুদ্ধির অপূর্ব সংযোজন। যা সমতা এবং বন্ধুত্বের মার্গ দর্শন করে থাকে।’
২) হার্বাট ওয়েল্স ( ১৮৪৬-১৯৪৬) লিখেছেন- ‘ বৌদ্ধধর্মের প্রভাবীকরণ আবার হওয়া পর্যন্ত অগণিত কতই প্রজন্ম অত্যাচার সহ্য করবে এবং জীবন কেটে যাবে। তখনই একদিন সমগ্র পৃথিবী বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্মের দিকে আকর্ষিত হয়ে যাবে। সেদিনই মানব সমাজের আসল বিকাশ শুরু হবে এবং সেদিন পৃথিবী আবার জাগ্রত হবে। প্রণাম জানাই সেদিনকে। যখন বুদ্ধ হাঁসবেন এবং দিন দুনিয়ার সমস্ত নকলী ভগবান তাঁর চরণেই দেখা যাবে।’
৩) আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ( ১৮৭৯-১৯৫৫) বলেছেন-‘ আমি বুঝতে পারছি যে, বুদ্ধই স্বীয় দৃষ্টি এবং জাগরুকতার মাধ্যমে তা করেছেন, যা পৃথিবীর অন্য কেহ যাঁরা নিজেকে ভগবান বলে প্রচার করেছেন তাঁরাও করতে পারেননি। বুদ্ধের মধ্যেই সে শক্তি রয়েছে, যা হতে শান্তি স্থাপিত হতে পারে। অন্য সমস্ত ধর্মের মধ্যে উঁচু-নীচু এবং কালো-সাদার ভেদভাব রয়েছে। যীশুর গুরুও ছিলেন ভগবান বুদ্ধ। যীশু ১৩ বছর পর্যন্ত কাশ্মীরে অবস্থান করে বৌদ্ধধর্মকে শিক্ষা করেছিলেন এবং ইউরোপে ভগবানের পুত্র বলে বুদ্ধের বাণীকে জনগণের কাছে পৌঁছিয়েছেন। এখন ইউরোপীয়রা এ কথা স্বীকার করেননা। কিন্তু ইহা হল সত্য।’
৪) চীনে জন্ম গ্রহণকারী এবং আমেরিকায় বসবাসকারী অধ্যাপক ড. হিউস্টন স্মিথ ( ১৯১৯- ২০১৬) বলেছেন-‘ যে নিজের উপর বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে তা হল বৌদ্ধধর্ম। কিন্তু কিছু লোক ধর্ম পণ্ডিতগণকে এবং পাথরের মুর্তিতে অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে অন্ধকারে হাতড়াতে রয়েছে। এজন্য বৌদ্ধধর্মের চেয়ে সরল এবং শান্তি প্রদায়ক উত্তম ধর্ম পৃথিবীতে আর একটিও নাই। যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে, তা কেবল বৌদ্ধধর্মেই রয়েছে। বুদ্ধকে লাইট অফ এশিয়া বলা হয়েছে। যদি আমরা আমাদের মন ও মস্তিস্ক ইহার জন্য প্রসারিত করি, তাহলে এর দ্বারা আমাদেরই কল্যাণ হবে। অন্যথায় অন্ধকারে হাতড়াতে হবে। যেরকম এখনও ভারতীয়রা অন্ধকারে হাতড়াতে রয়েছে এবং বুদ্ধের জ্ঞান নিয়ে চীন, জাপান এবং ইউরোপ সামনে অগ্রসর হচ্ছে।’
৫) বিখ্যাত ফরাসী দার্শনিক মাইকেল নোস্টরৈডামস ( ১৫০৩-১৫৬৬) লিখেছেন-‘ বৌদ্ধধর্ম ইউরোপে শাসক ধর্ম হয়ে যেত। কিন্তু নিজেকে নিজে ঈশ্বরের পুত্র পরিচয়দানকারী যীশু, যিনি বৌদ্ধধর্মের জ্ঞান নিয়ে ইউরোপ এসেছিলেন। তাঁকে শূলে ছড়ানো না হলে, তখন এশিয়া নয়, সমগ্র ইউরোপের প্রত্যেক প্রসিদ্ধ শহর বৌদ্ধধর্মের রাজধানী হয়ে যেত। তবে বুদ্ধের প্রভাব এখনও শেষ হয়নি। বর্তমান পর্যন্ত অর্ধ দুনিয়া বৌদ্ধময় হয়ে গিয়েছে।’
৬) স্বনামধন্য জগত বিখ্যাত বৃটিশ দার্শনিক বার্ট্রাণ্ড রাসেল ( ১৮৭২-১৯৭০) লিখেছেন-‘ আমি বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্মকে পড়েছি এবং তাতে জেনেছি যে, ইহাই সমগ্র পৃথিবীর এবং সমগ্র মানবতার জন্য হওয়া ধর্ম। বৌদ্ধধর্ম সমগ্র ইউরোপে প্রসারিত হবে এবং ইউরোপে বুদ্ধকে দুনিয়ার সম্মুখে নিয়ে আসার বড় বিচারক সামনে আসবে। একদিন এরকম আসবে যে, বৌদ্ধধর্মই দুনিয়ার বাস্তবিক উত্তেজনার কেন্দ্র হয়ে উঠবে।’
৭) গোস্টা লোবোন ( ১৮৪১-১৯৩১) বলেছেন-‘ বুদ্ধই আত্ম বিশ্বাস এবং অাত্ম সংশোধনের কথা বলে থাকেন। আত্ম বিশ্বাস এবং আত্ম সংশোধনেরই বিশ্বাসের সাহায্য নেওয়ার জন্য আমি পৃথিবীর সকল লোকদেরকে বৌদ্ধধর্মে ছায়াতলে আসার আমন্ত্রণ করছি।’
৮) বিখ্যাত বৃটিশ ঐতিহাসিক জর্জ বারনার্ড শ ( ১৮৫৬-১৯৫০) লিখেছেন-‘ সমগ্র পৃথিবী একদিন বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করবেন। যদি এ বাস্তবিক নাম গ্রহণ না করতে পারলেও রূপক নামে হলেও স্বীকার করবেন। পশ্চিমে একদিন বৌদ্ধধর্ম স্বীকার করে নিবে এবং বৌদ্ধধর্মই পৃথিবীতে লেখা-পড়া জানা লোকদের ধর্ম হবে। যা বর্তমানে বিকাশের ধর্ম হয়েছে। বৌদ্ধধর্ম হল পৃথিবীর প্রথম ধর্ম, যা ব্যক্তিকে বিজ্ঞান শিখিয়ে থাকে। ইহা অন্ধবিশ্বাসে রেখে মানবতাকে খোলাখুলি ও ব্যাপকভাবে ঘায়েল করেনা। বৌদ্ধধর্মে নারী এবং নর হল সম মর্যাদার অধিকারী। বৌদ্ধধর্মে তো পশুদেরকে পর্যন্ত প্রেম ভালবাসার শিক্ষা দিয়ে থাকে।’
৯) পাশ্চাত্য দার্শনিক জোহান গীথ ( ১৭৪৯-১৮৩২) উল্লেখ করেছেন-‘ আমাদের সবাইকে এখন অথবা পরে বৌদ্ধধর্মকে স্বীকার করতেই হবে। ইহাই হল পৃথিবীর সত্যিকার ধর্ম। আমাকে যখন কেহ বৌদ্ধ বলেন, তখন আমার খারাপ লাগেনা। আমি তাঁদের সত্য কথনকে স্বীকার করে থাকি।’
এভাবে অনেক পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক এবং ঐতিহাসিকেরা বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন।
শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

সৈয়দবাড়ী ধর্ম প্রবর্তন বৌদ্ধ বিহার দ্বিতীয় ভবনের দ্বারোদ্‌ঘাটন , কর্মবীর করুণাশ্রী থের’র “মহাথের বরণ” ১৯ , ২০ ডিসেম্বর

You cannot copy content of this page

বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে পাশ্চাত্য দার্শনিকদের কিছু মন্তব্য

আপডেট সময় ০৫:৫৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষের গবেষণার শেষ নেই। এশীয় খণ্ডের লোকেরা যতটুকু গবেষণা করেছেন বা করে চলেছেন, তারচেয়েও অধিক গবেষণা করে চলেছেন আধুনিক পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক ও দার্শনিকগণ। যে সকল পশ্চিমা দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিকগণ বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে নিরন্তর গবেষণা করে সেগুলির নির্যাস স্বরূপ উক্তি প্রদান করেছেন তন্মধ্যে এখানে কয়েকজন প্রমুখ দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিকের বিখ্যাত উক্তি নিম্নে উপস্থাপন করা হল।
১) বিশ্ববিখ্যাত রাশিয়ান লেখক লিও টলস্টয় ( ১৮২৮-১৯১০) লিখেছেন যে-‘ বুদ্ধ এবং তাঁর ধর্মই একদিন পৃথিবীব্যাপী রাজত্ব করবে। কেননা এখানে রয়েছে জ্ঞান এবং বুদ্ধির অপূর্ব সংযোজন। যা সমতা এবং বন্ধুত্বের মার্গ দর্শন করে থাকে।’
২) হার্বাট ওয়েল্স ( ১৮৪৬-১৯৪৬) লিখেছেন- ‘ বৌদ্ধধর্মের প্রভাবীকরণ আবার হওয়া পর্যন্ত অগণিত কতই প্রজন্ম অত্যাচার সহ্য করবে এবং জীবন কেটে যাবে। তখনই একদিন সমগ্র পৃথিবী বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্মের দিকে আকর্ষিত হয়ে যাবে। সেদিনই মানব সমাজের আসল বিকাশ শুরু হবে এবং সেদিন পৃথিবী আবার জাগ্রত হবে। প্রণাম জানাই সেদিনকে। যখন বুদ্ধ হাঁসবেন এবং দিন দুনিয়ার সমস্ত নকলী ভগবান তাঁর চরণেই দেখা যাবে।’
৩) আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ( ১৮৭৯-১৯৫৫) বলেছেন-‘ আমি বুঝতে পারছি যে, বুদ্ধই স্বীয় দৃষ্টি এবং জাগরুকতার মাধ্যমে তা করেছেন, যা পৃথিবীর অন্য কেহ যাঁরা নিজেকে ভগবান বলে প্রচার করেছেন তাঁরাও করতে পারেননি। বুদ্ধের মধ্যেই সে শক্তি রয়েছে, যা হতে শান্তি স্থাপিত হতে পারে। অন্য সমস্ত ধর্মের মধ্যে উঁচু-নীচু এবং কালো-সাদার ভেদভাব রয়েছে। যীশুর গুরুও ছিলেন ভগবান বুদ্ধ। যীশু ১৩ বছর পর্যন্ত কাশ্মীরে অবস্থান করে বৌদ্ধধর্মকে শিক্ষা করেছিলেন এবং ইউরোপে ভগবানের পুত্র বলে বুদ্ধের বাণীকে জনগণের কাছে পৌঁছিয়েছেন। এখন ইউরোপীয়রা এ কথা স্বীকার করেননা। কিন্তু ইহা হল সত্য।’
৪) চীনে জন্ম গ্রহণকারী এবং আমেরিকায় বসবাসকারী অধ্যাপক ড. হিউস্টন স্মিথ ( ১৯১৯- ২০১৬) বলেছেন-‘ যে নিজের উপর বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে তা হল বৌদ্ধধর্ম। কিন্তু কিছু লোক ধর্ম পণ্ডিতগণকে এবং পাথরের মুর্তিতে অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে অন্ধকারে হাতড়াতে রয়েছে। এজন্য বৌদ্ধধর্মের চেয়ে সরল এবং শান্তি প্রদায়ক উত্তম ধর্ম পৃথিবীতে আর একটিও নাই। যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে, তা কেবল বৌদ্ধধর্মেই রয়েছে। বুদ্ধকে লাইট অফ এশিয়া বলা হয়েছে। যদি আমরা আমাদের মন ও মস্তিস্ক ইহার জন্য প্রসারিত করি, তাহলে এর দ্বারা আমাদেরই কল্যাণ হবে। অন্যথায় অন্ধকারে হাতড়াতে হবে। যেরকম এখনও ভারতীয়রা অন্ধকারে হাতড়াতে রয়েছে এবং বুদ্ধের জ্ঞান নিয়ে চীন, জাপান এবং ইউরোপ সামনে অগ্রসর হচ্ছে।’
৫) বিখ্যাত ফরাসী দার্শনিক মাইকেল নোস্টরৈডামস ( ১৫০৩-১৫৬৬) লিখেছেন-‘ বৌদ্ধধর্ম ইউরোপে শাসক ধর্ম হয়ে যেত। কিন্তু নিজেকে নিজে ঈশ্বরের পুত্র পরিচয়দানকারী যীশু, যিনি বৌদ্ধধর্মের জ্ঞান নিয়ে ইউরোপ এসেছিলেন। তাঁকে শূলে ছড়ানো না হলে, তখন এশিয়া নয়, সমগ্র ইউরোপের প্রত্যেক প্রসিদ্ধ শহর বৌদ্ধধর্মের রাজধানী হয়ে যেত। তবে বুদ্ধের প্রভাব এখনও শেষ হয়নি। বর্তমান পর্যন্ত অর্ধ দুনিয়া বৌদ্ধময় হয়ে গিয়েছে।’
৬) স্বনামধন্য জগত বিখ্যাত বৃটিশ দার্শনিক বার্ট্রাণ্ড রাসেল ( ১৮৭২-১৯৭০) লিখেছেন-‘ আমি বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্মকে পড়েছি এবং তাতে জেনেছি যে, ইহাই সমগ্র পৃথিবীর এবং সমগ্র মানবতার জন্য হওয়া ধর্ম। বৌদ্ধধর্ম সমগ্র ইউরোপে প্রসারিত হবে এবং ইউরোপে বুদ্ধকে দুনিয়ার সম্মুখে নিয়ে আসার বড় বিচারক সামনে আসবে। একদিন এরকম আসবে যে, বৌদ্ধধর্মই দুনিয়ার বাস্তবিক উত্তেজনার কেন্দ্র হয়ে উঠবে।’
৭) গোস্টা লোবোন ( ১৮৪১-১৯৩১) বলেছেন-‘ বুদ্ধই আত্ম বিশ্বাস এবং অাত্ম সংশোধনের কথা বলে থাকেন। আত্ম বিশ্বাস এবং আত্ম সংশোধনেরই বিশ্বাসের সাহায্য নেওয়ার জন্য আমি পৃথিবীর সকল লোকদেরকে বৌদ্ধধর্মে ছায়াতলে আসার আমন্ত্রণ করছি।’
৮) বিখ্যাত বৃটিশ ঐতিহাসিক জর্জ বারনার্ড শ ( ১৮৫৬-১৯৫০) লিখেছেন-‘ সমগ্র পৃথিবী একদিন বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করবেন। যদি এ বাস্তবিক নাম গ্রহণ না করতে পারলেও রূপক নামে হলেও স্বীকার করবেন। পশ্চিমে একদিন বৌদ্ধধর্ম স্বীকার করে নিবে এবং বৌদ্ধধর্মই পৃথিবীতে লেখা-পড়া জানা লোকদের ধর্ম হবে। যা বর্তমানে বিকাশের ধর্ম হয়েছে। বৌদ্ধধর্ম হল পৃথিবীর প্রথম ধর্ম, যা ব্যক্তিকে বিজ্ঞান শিখিয়ে থাকে। ইহা অন্ধবিশ্বাসে রেখে মানবতাকে খোলাখুলি ও ব্যাপকভাবে ঘায়েল করেনা। বৌদ্ধধর্মে নারী এবং নর হল সম মর্যাদার অধিকারী। বৌদ্ধধর্মে তো পশুদেরকে পর্যন্ত প্রেম ভালবাসার শিক্ষা দিয়ে থাকে।’
৯) পাশ্চাত্য দার্শনিক জোহান গীথ ( ১৭৪৯-১৮৩২) উল্লেখ করেছেন-‘ আমাদের সবাইকে এখন অথবা পরে বৌদ্ধধর্মকে স্বীকার করতেই হবে। ইহাই হল পৃথিবীর সত্যিকার ধর্ম। আমাকে যখন কেহ বৌদ্ধ বলেন, তখন আমার খারাপ লাগেনা। আমি তাঁদের সত্য কথনকে স্বীকার করে থাকি।’
এভাবে অনেক পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক এবং ঐতিহাসিকেরা বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন।