বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণার দাবিতে অন্তরবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘ আপনারা বলেছেন শুভু প্রবারণায় ছুটির জন্য; এটা মন্ত্রী হিসেবে আমি পারি না। এটা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী ব্যক্তি আমাদের চিফ এডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) মহোদয়ের ঘোষণা লাগবে। আপনারা একটা হাই পাওয়ার টিম ( সর্বোচ্চ বৌদ্ধ নেতৃত্বের দল) প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেন.। আমি আপনাদের পক্ষে সুপারিশ করবো।’
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামে একটি বৌদ্ধদের ধর্মীয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া তিনি বলেন, ‘ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত বুদ্ধ গয়ায় এদেশের বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীদের ভিসা বন্ধ রয়েছে। ‘ এবিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে আলোচনা করবেন বলে তিনি জানান।
জনাব ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্যকে রেসপেক্ট করেই বলছি ওনার একার পক্ষে ছুটি ঘোষণার কোনো ক্ষমতা নেই। বৌদ্ধদের এগিয়ে না আসলে ও বাস্তব পদক্ষেপ না নিলে এই দাবি কথার ফুলঝুরি হয়েই থাকবে। তবে এখন বিষয়টা হলো এই বৌদ্ধ ‘হাই পাওয়ার টিম’ কারা? আদৌ কী কোনো সুগঠিত টিম কী রয়েছে বৌদ্ধদের? ধর্ম উপদেষ্টা তো বলেই দিয়েছেন আপানারা দ্রুত দেখা করেন, তিনি আশাবাদী। দেখবেন, এই হাইপাওয়ার টিম সিলেক্ট করতে করতে প্রবারণা পূর্ণিমা যেন শেষ হয়ে না যায় আবার। সঠিক সময়ের সদ্ব্যবহার না হলে পরে কান্নাকাটি করে লাভ নেই। তাই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করবো এখনই সময়, ভেদাভেদ ও রাজনীতি ভুলে আপানারা টিম গঠন করে দ্রুত দেখা করুন ও দাবী আদায় করুন। আমরা কথার ফুলঝুরি শুনতে চাই না।
প্রসঙ্গত, বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা; যা প্রতিবছর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও খুবই উৎসবমুখর আয়োজনে পালন করে আসছে এদেশের বৌদ্ধরা। কিন্তু সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের এ উৎসবের জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো ছুটি নেই। বিগত কোনো সরকারই বৌদ্ধদের এই দাবির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বলাবাহুল্য, শুধু বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এদেশের বৌদ্ধরা রাষ্ট্রীয় ছুটি পায় মাত্র বছরে একদিনই। শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও উৎসব উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ছুটি পাওয়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে খুবই কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত করবে।