০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়ি পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০২:৩৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

শান্তিপুর অরণ্য কুটির। অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি, ধ্যান-সাধনার পীঠস্থান এ অরণ্য কুটির। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার  অরণ্যে ঘেরা  প্রায় ১৮০ একর জায়গা জুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র এ তীর্থস্থানটি   অবস্থিত ।

প্রকৃতির অবারিত ঘন সবুজ বনানীর ছায়া সুনিবিড় মমতায় ঘেরা  পানছড়ি উপজেলা শহর থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫/৬ কি.মি দূরে শান্তিপুর নামক জনপদের অনতিদূরে এর অবস্থান। যা জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে । বিশাল এলাকাজুড়ে অরণ্যে আবৃত বলেই  এর নামকরণ করা হয়েছে “অরণ্য কুটির”।

পাহাড়ি গাছ-গাছড়ায় ঘেরা পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি।সেখানে রয়েছে ভিত্তিসহ ৫০ ফিট উচ্চতার গৌতম বৌুদ্ধের মূর্তি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে  পরিচিত । নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে ভিক্ষুদের ধ্যান করার সুবিধার্থে ১৯৯৯ সালে  ভদন্ত শাসনরক্ষিত মহাথেরো এ কুটির টি স্থাপন করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় গুরু সাধনা নন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ৮ম শিষ্য।

স্থানীয়রা জানান,পানছড়ির শান্তিপুরের গহীণ বনে ভদন্ত  শাসন রক্ষিত ভান্তে ধ্যান করছিলেন । দিনের পর দিন খোলা জায়গায় ধ্যান করতে দেখে প্রথমে একটি ছোট ঘর তৈরী করেন স্থানীয়রা । এরপর ভদন্ত শাসন রক্ষিত মহাস্থবিরের প্রাণান্তকর চেষ্টায় বর্তমান শান্তিপুর অরণ্য কুটিরটি নির্মিত হয়েছে ।

 

 

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

সৈয়দবাড়ী ধর্ম প্রবর্তন বৌদ্ধ বিহার দ্বিতীয় ভবনের দ্বারোদ্‌ঘাটন , কর্মবীর করুণাশ্রী থের’র “মহাথের বরণ” ১৯ , ২০ ডিসেম্বর

You cannot copy content of this page

খাগড়াছড়ি পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির

আপডেট সময় ০২:৩৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শান্তিপুর অরণ্য কুটির। অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি, ধ্যান-সাধনার পীঠস্থান এ অরণ্য কুটির। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার  অরণ্যে ঘেরা  প্রায় ১৮০ একর জায়গা জুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র এ তীর্থস্থানটি   অবস্থিত ।

প্রকৃতির অবারিত ঘন সবুজ বনানীর ছায়া সুনিবিড় মমতায় ঘেরা  পানছড়ি উপজেলা শহর থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫/৬ কি.মি দূরে শান্তিপুর নামক জনপদের অনতিদূরে এর অবস্থান। যা জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে । বিশাল এলাকাজুড়ে অরণ্যে আবৃত বলেই  এর নামকরণ করা হয়েছে “অরণ্য কুটির”।

পাহাড়ি গাছ-গাছড়ায় ঘেরা পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি।সেখানে রয়েছে ভিত্তিসহ ৫০ ফিট উচ্চতার গৌতম বৌুদ্ধের মূর্তি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে  পরিচিত । নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে ভিক্ষুদের ধ্যান করার সুবিধার্থে ১৯৯৯ সালে  ভদন্ত শাসনরক্ষিত মহাথেরো এ কুটির টি স্থাপন করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় গুরু সাধনা নন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ৮ম শিষ্য।

স্থানীয়রা জানান,পানছড়ির শান্তিপুরের গহীণ বনে ভদন্ত  শাসন রক্ষিত ভান্তে ধ্যান করছিলেন । দিনের পর দিন খোলা জায়গায় ধ্যান করতে দেখে প্রথমে একটি ছোট ঘর তৈরী করেন স্থানীয়রা । এরপর ভদন্ত শাসন রক্ষিত মহাস্থবিরের প্রাণান্তকর চেষ্টায় বর্তমান শান্তিপুর অরণ্য কুটিরটি নির্মিত হয়েছে ।