০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুদ্ধের দেহাবশেষের রত্নগুলি নিলামে: নতুন বিতর্কের জন্ম

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮৯৮ সালে উত্তর ভারতে (অধুনা উত্তরপ্রদেশে) পিপরাওয়া বৌদ্ধ স্তূপের কাছে খননকার্য চালিয়ে ওই সম্পদ উদ্ধার করেন উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপে নামে এক ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার।

গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ এবং তার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু মূল্যবান পাথর, সোনার গয়না নিলামে উঠতে চলেছে। বুধবার হংকংয়ে সদবির নিলামে উঠবে সে-সব।

একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮৯৮ সালে উত্তর ভারতে (অধুনা উত্তরপ্রদেশে) পিপরাওয়া বৌদ্ধ স্তূপের কাছে খননকার্য চালিয়ে ওই সম্পদ উদ্ধার করেন উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপে নামে এক ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার। বুদ্ধের জন্মস্থল লুম্বিনীর অদূরেই ছিল এই পিপরাওয়া স্তূপ। সেখান থেকে বুদ্ধের দেহাবশেষের পাশাপাশি উদ্ধার হয় প্রায় ১৮০০টি মুক্তো, চুনি, পোখরাজ, নীলার মতো মূল্যবান পাথর এবং আঁকিবুঁকি টানা সোনার পাত। এশিয়ায় সদবির চেয়ারম্যান নিকোলাস চাও বলেন, ‘‘এ যাবৎ অত্যাশ্চর্য প্রত্নাতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।’’ তবে এই নিলামকে কেন্দ্র করে ঘনিয়ে উঠছে কিছু প্রশ্ন। ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কাছে ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী, বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই সম্পদ কি নীতিগত ভাবে নিলামে তোলা যায়? মানবদেহের অংশবিশেষ নিলামযোগ্য কিনা অথবা এগুলিকে অন্য পণ্যের মতো নিলাম ডেকে বিক্রি করা উচিত কি?

ঐতিহাসিকদের মতে, বুদ্ধের যা কিছু, সবই শাক্যবংশীয় এবং বৌদ্ধদের সম্পদ। তাঁর দেহাবশেষ ভারত, তাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মানায়মারে পূজিত হচ্ছে। উইলিয়ামের প্রপৌত্র তথা ওই সম্পদের বর্তমান রক্ষক ক্রিস পেপে বলেন, ‘‘আমরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে সবই দান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নিলাম ডেকে যোগ্য সংরক্ষকের হাতে তুলে দেওয়াই শ্রেষ্ঠ মনে করছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে)

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরাম চট্টগ্রামের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

You cannot copy content of this page

বুদ্ধের দেহাবশেষের রত্নগুলি নিলামে: নতুন বিতর্কের জন্ম

আপডেট সময় ০৯:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮৯৮ সালে উত্তর ভারতে (অধুনা উত্তরপ্রদেশে) পিপরাওয়া বৌদ্ধ স্তূপের কাছে খননকার্য চালিয়ে ওই সম্পদ উদ্ধার করেন উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপে নামে এক ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার।

গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ এবং তার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু মূল্যবান পাথর, সোনার গয়না নিলামে উঠতে চলেছে। বুধবার হংকংয়ে সদবির নিলামে উঠবে সে-সব।

একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮৯৮ সালে উত্তর ভারতে (অধুনা উত্তরপ্রদেশে) পিপরাওয়া বৌদ্ধ স্তূপের কাছে খননকার্য চালিয়ে ওই সম্পদ উদ্ধার করেন উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপে নামে এক ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার। বুদ্ধের জন্মস্থল লুম্বিনীর অদূরেই ছিল এই পিপরাওয়া স্তূপ। সেখান থেকে বুদ্ধের দেহাবশেষের পাশাপাশি উদ্ধার হয় প্রায় ১৮০০টি মুক্তো, চুনি, পোখরাজ, নীলার মতো মূল্যবান পাথর এবং আঁকিবুঁকি টানা সোনার পাত। এশিয়ায় সদবির চেয়ারম্যান নিকোলাস চাও বলেন, ‘‘এ যাবৎ অত্যাশ্চর্য প্রত্নাতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।’’ তবে এই নিলামকে কেন্দ্র করে ঘনিয়ে উঠছে কিছু প্রশ্ন। ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কাছে ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী, বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই সম্পদ কি নীতিগত ভাবে নিলামে তোলা যায়? মানবদেহের অংশবিশেষ নিলামযোগ্য কিনা অথবা এগুলিকে অন্য পণ্যের মতো নিলাম ডেকে বিক্রি করা উচিত কি?

ঐতিহাসিকদের মতে, বুদ্ধের যা কিছু, সবই শাক্যবংশীয় এবং বৌদ্ধদের সম্পদ। তাঁর দেহাবশেষ ভারত, তাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মানায়মারে পূজিত হচ্ছে। উইলিয়ামের প্রপৌত্র তথা ওই সম্পদের বর্তমান রক্ষক ক্রিস পেপে বলেন, ‘‘আমরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে সবই দান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নিলাম ডেকে যোগ্য সংরক্ষকের হাতে তুলে দেওয়াই শ্রেষ্ঠ মনে করছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে)