১১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে পুণ্যানুষ্ঠান

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০৩:২৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৬৮৮ বার পড়া হয়েছে

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের’ শহীদদের স্মরণে আজ রাজধানীর বাসাবোতে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার প্রাঙ্গণে এক বিশেষ ধর্মীয় পুণ্যানুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পিণ্ডদানসহ নানাবিধ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি, মুক্তি এবং জগতের সকল জীবের মঙ্গল কামনা করা হয়।

পুণ্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ধর্মীয় পূণ্যানুষ্ঠানে ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের মানুষের আত্মপরিচয়, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মাইলফলক। এ শহীদদের আত্মত্যাগ জাতিকে চিরদিন প্রেরণা জোগাবে।

তিনি বলেন, এটি ছিল এক প্রকার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বোনার চেষ্টা-যেখানে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, সামাজিক সাম্য ও সাংস্কৃতিক বিজয়ের প্রতি মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পায়।

উপদেষ্টা আরো বলেন, এ গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয় বরং জনগণের আত্মপরিচয় পুনঃনির্মাণের সাংস্কৃতিক প্রয়াস হিসেবেও বিবেচিত। এ অভ্যুত্থান ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদী সমাজ গঠনের আন্দোলনে নতুন গতি এনেছে, বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে সামনে এনে দিয়েছে ।

বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব শুভাশিস চাকমা, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয়

You cannot copy content of this page

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে পুণ্যানুষ্ঠান

আপডেট সময় ০৩:২৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের’ শহীদদের স্মরণে আজ রাজধানীর বাসাবোতে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার প্রাঙ্গণে এক বিশেষ ধর্মীয় পুণ্যানুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পিণ্ডদানসহ নানাবিধ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি, মুক্তি এবং জগতের সকল জীবের মঙ্গল কামনা করা হয়।

পুণ্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ধর্মীয় পূণ্যানুষ্ঠানে ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের মানুষের আত্মপরিচয়, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মাইলফলক। এ শহীদদের আত্মত্যাগ জাতিকে চিরদিন প্রেরণা জোগাবে।

তিনি বলেন, এটি ছিল এক প্রকার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বোনার চেষ্টা-যেখানে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, সামাজিক সাম্য ও সাংস্কৃতিক বিজয়ের প্রতি মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পায়।

উপদেষ্টা আরো বলেন, এ গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয় বরং জনগণের আত্মপরিচয় পুনঃনির্মাণের সাংস্কৃতিক প্রয়াস হিসেবেও বিবেচিত। এ অভ্যুত্থান ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদী সমাজ গঠনের আন্দোলনে নতুন গতি এনেছে, বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে সামনে এনে দিয়েছে ।

বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব শুভাশিস চাকমা, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।