আগামীকাল শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. মহিমান্বিত পবিত্র আশ্বিনী পূর্ণিমা বা প্রবারণা পূর্ণিমা। ২৫৬৮ বুদ্ধাব্দের পূত পবিত্র প্রবারণা পূর্ণিমা।
বিশ্বের অপরাপর থেরবাদী বৌদ্ধদের মতো বাংলাদেশের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী মহাসাড়ম্বরে মহামহিমান্বিত পূতপবিত্র এ আশ্বিনী পূর্ণিমা বা প্রবারণা পূর্ণিমাকে বুদ্ধের ধর্ম-দর্শনসম্মত নানাবিধ বহু বর্ণিল অনুষ্ঠান সাজিয়ে প্রতিটি বৌদ্ধবিহার ও প্যাগোডায় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন ১৭অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে দেশের প্রতিটি বিহারে মাসব্যাপী দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হবে।
পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশসহ পার্বত্য সম্মিলিত বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এবার পাহাড়ে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হচ্ছে না। তবে ১৭ অক্টোবর হতে শুভ প্রবারণার মধ্য দিয়ে অন্যান্য বৌদ্ধধর্মীয় উৎসব পালিত হবে।
এদিন উপলক্ষে সকালে বৌদ্ধ নরনারী শুচি শুভ্র হবে, পরিস্কার পোশাকেকঠিন চীবর দানোৎসব শুরু বিহার সমবেত হয়ে বুদ্ধকে পূজা, ভিক্ষুদের আহার্য দান, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ, দুপুরে বিহারে বিহারে ভাবনা অনুশীলন, বিকেলে ধর্ম সভার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো উৎসব আয়োজন হচ্ছে। এছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধদের কাছে বড় ছাদাং নামেও পরিচিত। এর অর্থ বড় উপোসথ দিবস। প্রবারণা আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান। অকুশলকে বর্জন করে কুশলকে বরণের উৎসব। প্রবারণা পূর্ণিমা হলো ভিক্ষুসঙ্ঘের ত্রৈমাসিক ব্রত অবসানে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে বহুজন হিতায় বহুজন সুখায় আদর্শে বলীয়ান হয়ে দিকে দিকে শান্তি ও মৈত্রীর বাণী প্রচারে আত্মনিয়োগ করার অনুষ্ঠান।
এ পূর্ণিমা তিথিতে তিন মাসব্যাপী তথাগত বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর বহুজন হিত, সুখ ও কল্যাণে সদ্ধর্ম প্রচারের জন্য বুদ্ধ ভিক্ষুসঙ্ঘকে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। আজ ভিক্ষুসঙ্ঘের সেই ত্রৈমাসিক বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তির দিন।
কাল থেকে দেশ বিদেশের বিহারগুলোতে (প্যাগোডা) শুরু হবে মাসব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান। এ দিন থেকে মাসব্যাপী ‘ভিক্ষুসঙ্ঘ বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায়’ আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মানব কল্যাণে ছড়িয়ে পড়বেন।
এ লক্ষ্যে দেশের সব বৌদ্ধ বিহারে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যদায় ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ উদযাপিত হবে