বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “আবহমান কাল থেকে এই দেশে সব সম্প্রদায় ও ধর্মের জনগণ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা ও ধর্ম পালন করে আসছে।” শনিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানী ঢাকায়, বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়ন: আমাদের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সমতলের বৌদ্ধ ধর্মের মানুষের জন্য কোনো পারিবারিক আইন নেই, এটা চিন্তার বিষয়।”
আনিসুল হক বলেন, “বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য মুসলিম পারিবারিক আইন, হিন্দু ধর্মের মানুষের জন্য হিন্দু পারিবারিক আইন এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের জন্য খ্রিস্টান ধর্মীয় আইন প্রচলিত আছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমতলের বৌদ্ধধর্মের মানুষের জন্য কোনো পারিবারিক আইন নেই, এটা চিন্তার বিষয়। বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যাবলী আরো বিস্তৃত করে, এর কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে, ট্রাস্টের অধ্যাদেশকে ২০১৮ সালে আইনে পরিণত করা হয়েছে। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সংখ্যা ৮ থেকে ১২ জনে উন্নীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাস করা হয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের অসাম্প্রদায়িক আদর্শ-এর অনন্য উদাহরণ।”
আনিসুল হক জানান, “গৌতম বুদ্ধের জন্মভূমি নেপালের লুম্বিনী কনজারভেশন এলাকায়, প্রায় ২ একর জমির ওপর বাংলাদেশ প্যাগোডা ও বুড্ডিস্ট কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই পদক্ষেপ বিশ্বে সাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন।”
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত সেমিনারে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।বক্তব্য দেন; লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, শিক্ষাবিদ ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, ড. নীরু বড়ুয়া, ট্রাস্টি ববিতা বড়ুয়া।