শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে সংঘরাজ একুশে পদক প্রাপ্ত ,শাসন শোভন ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের এই শুভেচ্ছা জানান।
বাণীতে শাসন শোভন ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের বলেন, এ পূর্ণিমা দিনে তথাগত বুদ্ধ দেবমানবের হিতার্থে লক্ষাধিক চারি অসংখ্য লক্ষ কল্প পারমী সম্ভার পূরণ করে অন্তিম্র কপিলাবস্তুর লুম্বিনী কাননে সিদ্ধার্থ রুপে মানব জন্ম লাভ করেন, গয়ার বোধিমুলে সর্বশ্রেষ্ট জ্ঞান বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হন এবং দীর্ঘ ৪৫ বছর ব্যাপী তার অধিগত জ্ঞান দেবমানবের হিতার্থে বিতরণ করে কুশীনগরের মল্লদের শাল বৃক্ষের নীচে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।
আজ বুদ্ধ শাসনের ২৫৬৭ বছরের যাত্রা শুরু হলো । দুর্লভ এ বুদ্ধাশাসনে বুদ্ধ অধিগত নৈবানিক শিক্ষা অনুশীলনের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকের দুর্লভ মানব জন্ম সার্থক করা উচিত। অন্যথায় কখন এই মানব জন্ম পুনঃ লাভ করবো অথবা কখন বা কোন জন্মে বুদ্ধ শাসন লাভ করবো তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
তিনি আর ও বলেন,
বর্তমান সাঁরাবিশ্ব এক যুদ্ধাংদেহী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম রোবটিক চিন্তাধারায় বিরাজিত হয়ে নিজেদেরা মননশীলতা ধারা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত আমাদের প্রজন্মকে মননশীলতার ধারায় চালিত করার জন্য ছোটবেলা থেকে বিহার ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা ও অনুশীলন করা। এ বিষয়ে সচেতন বুদ্ধিজীবি মহল তথা প্রত্যেক দায়িত্বশীল সংগঠন সমুহকে এগিয়ে আসা উচিৎ ।
বুদ্ধ নির্দেশিত পঞ্চশীল পালন প্রত্যেক উপাসক উপাসিকার নৈতিক কর্তব্য হওয়া উচিৎ। বুদ্ধ পূর্ণিমার এ শুভ দিনে প্রত্যেককে পঞ্চশীলকে জীবনের একটি অপরিহায্য অঙ্গ হিসাবে গ্রহণ করার জন্য উদাও আহবান জানান।
তিনি সবার মাঝে বুদ্ধ পূর্ণিমা তথা ২৫৬৭ বুদ্ধবর্ষ নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি । ব্যাক্তি পরিবার সমাজ দেশ তথা সমগ্র বিশ্ব বুদ্ধের শিক্ষাকে ধারণ করে হয়ে উঠুক বুদ্ধ ধনে ধনী এবং অনাবিল শান্তির বাতাবরণে ধরণী হোক করুণার আলোয় আলোকিত ও মহাশান্তির আধার।