০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ১২:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
  • ১০১৫ বার পড়া হয়েছে

আগামীকাল মঙ্গলবার ১ আগস্ট ২০২৩ ইংরেজি, ২৫৬৭ বুদ্ধবর্ষের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা।

মহামানব সিদ্ধার্থ গৌতম ও তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের জন্মপূর্ব এবং জন্মোত্তর জীবনের পাঁচ ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয় এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা। ‘সিদ্ধার্থ গৌতম বা তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধ মানবকুলে জন্ম নেওয়ার জন্য তার মাতৃগর্ভে (রানী মহামায়া) প্রতিসন্ধি গ্রহণ, সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগ, সর্বপ্রথম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র দেশনা বা বৌদ্ধ ধর্মমত প্রচার, প্রাতিহার্য ঋদ্ধি তথা আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদর্শন এবং গৌতম বুদ্ধের পরলোকগত মাকে (রানী মহামায়া) অভিধর্ম দেশনা’ এই পাঁচ ঘটনাপঞ্জির জন্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত পুণ্যময়। এই পূর্ণিমা তিথিতেই তথাগত গৌতম বুদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য বর্ষাব্রতের নিয়মও প্রবর্তন করেন।

এছাড়া, এ পূর্ণিমার মধ্যদিয়ে গৃহীসংঘরাও আত্মশুদ্ধি, আত্মসমর্পন ও আত্মনিবেদন প্রত্যয়ে ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রতে উপোসথ প্রতিপালন করেন। বর্ষাবাসকালীন তিনমাসের উপোসথ সমূহ প্রতিপালনের মনস্থির করুন। পূর্ণ করুন শীল পারমিতা।

উপোসথ দিবসে যাদের অবসর/ছুটি নেই, তারা পুরোদিন সম্ভব না হলেও অর্ধ-উপোসথ প্রতিপালন করতে পারেন। এমনকি আপনি চাইলে কয়েক ঘন্টার জন্যও অষ্টশীল প্রতিপালন করতে পারেন।

দুঃশীল, দুঃশ্চরিত্র ও অসমাহিত হয়ে শতবর্ষ জীবিত থাকার চেয়ে; শীলবান, সচ্চরিত্র ও সমাহিত হয়ে একদিনের জীবনও শ্রেয়। -বুদ্ধবাণী (ধর্মপদ ১১০)

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয়

সুহৃদ চৌধুরী শুধু মানুষ গড়ার কারিগর নয়, ছিলেন একজন সমাজহিতৈষী ও দক্ষ সংগঠক

You cannot copy content of this page

আগামীকাল শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা

আপডেট সময় ১২:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

আগামীকাল মঙ্গলবার ১ আগস্ট ২০২৩ ইংরেজি, ২৫৬৭ বুদ্ধবর্ষের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা।

মহামানব সিদ্ধার্থ গৌতম ও তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের জন্মপূর্ব এবং জন্মোত্তর জীবনের পাঁচ ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয় এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা। ‘সিদ্ধার্থ গৌতম বা তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধ মানবকুলে জন্ম নেওয়ার জন্য তার মাতৃগর্ভে (রানী মহামায়া) প্রতিসন্ধি গ্রহণ, সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগ, সর্বপ্রথম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র দেশনা বা বৌদ্ধ ধর্মমত প্রচার, প্রাতিহার্য ঋদ্ধি তথা আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদর্শন এবং গৌতম বুদ্ধের পরলোকগত মাকে (রানী মহামায়া) অভিধর্ম দেশনা’ এই পাঁচ ঘটনাপঞ্জির জন্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত পুণ্যময়। এই পূর্ণিমা তিথিতেই তথাগত গৌতম বুদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য বর্ষাব্রতের নিয়মও প্রবর্তন করেন।

এছাড়া, এ পূর্ণিমার মধ্যদিয়ে গৃহীসংঘরাও আত্মশুদ্ধি, আত্মসমর্পন ও আত্মনিবেদন প্রত্যয়ে ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রতে উপোসথ প্রতিপালন করেন। বর্ষাবাসকালীন তিনমাসের উপোসথ সমূহ প্রতিপালনের মনস্থির করুন। পূর্ণ করুন শীল পারমিতা।

উপোসথ দিবসে যাদের অবসর/ছুটি নেই, তারা পুরোদিন সম্ভব না হলেও অর্ধ-উপোসথ প্রতিপালন করতে পারেন। এমনকি আপনি চাইলে কয়েক ঘন্টার জন্যও অষ্টশীল প্রতিপালন করতে পারেন।

দুঃশীল, দুঃশ্চরিত্র ও অসমাহিত হয়ে শতবর্ষ জীবিত থাকার চেয়ে; শীলবান, সচ্চরিত্র ও সমাহিত হয়ে একদিনের জীবনও শ্রেয়। -বুদ্ধবাণী (ধর্মপদ ১১০)