১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০১:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • ৭৯০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি রামু পৌঁছে প্রথমে ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারে যান। পরে সেখান থেকে জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শন করেন।

রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারে পৌছাঁলে বিহারের অধ্যক্ষ কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথেরো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন। পরে মন্ত্রী রাংকুট বৌদ্ধ বিহার, রাংকুট পদ্মবীনা জুলন্ত সেতু, মীরাক্কেল গার্ডেনসহ বৌদ্ধ বিহারটি ঘুরে দেখেন।

এ সময় মন্ত্রী জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শনে গেলে হোমের শিশু শিক্ষার্থীরা গান এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। এ সময় মন্ত্রী জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেন।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির মডেল এই বাংলাদেশে রাংকুট একটি অনন্য তীর্থস্থান এবং জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। সমপ্রীতির এ দেশে সকলে মিলেমিশে আমাদের বসবাস করতে হবে।

বাংলাদেশের এই প্রান্তেও মহামানব বুদ্ধের পদচারণা হয়েছিল, সম্রাট অশোক এ প্রাচীন স্থাপনাটি নির্মাণ করেছিলেন বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী আরও বলেন, এর আগেও আমি এখানে এসেছিলাম, এখানে যতই আসি ততই মুগ্ধ হই।

অনাথ শিশুদের এ আশ্রম, যেটি আমি ইউটিউব এ সার্চ করে দেখেছিলাম, তখনই আসার জন্য মনস্থির করি। আজকে এসে অনেক ভাল লাগলো।

এই শিশুরা একদিন বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে, এ ঐতিহাসিক স্থাপনাটি যাতে স্থায়ীত্ব এবং সমৃদ্ধি লাভ করে সেক্ষেত্রে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. আসাদুজ্জামান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু, সহকারি একান্ত সচিব মনির হোসেন, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন, রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারের পরিচালক কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রামু ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরাম চট্টগ্রামের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

You cannot copy content of this page

রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি রামু পৌঁছে প্রথমে ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারে যান। পরে সেখান থেকে জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শন করেন।

রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারে পৌছাঁলে বিহারের অধ্যক্ষ কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথেরো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন। পরে মন্ত্রী রাংকুট বৌদ্ধ বিহার, রাংকুট পদ্মবীনা জুলন্ত সেতু, মীরাক্কেল গার্ডেনসহ বৌদ্ধ বিহারটি ঘুরে দেখেন।

এ সময় মন্ত্রী জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শনে গেলে হোমের শিশু শিক্ষার্থীরা গান এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। এ সময় মন্ত্রী জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেন।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির মডেল এই বাংলাদেশে রাংকুট একটি অনন্য তীর্থস্থান এবং জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। সমপ্রীতির এ দেশে সকলে মিলেমিশে আমাদের বসবাস করতে হবে।

বাংলাদেশের এই প্রান্তেও মহামানব বুদ্ধের পদচারণা হয়েছিল, সম্রাট অশোক এ প্রাচীন স্থাপনাটি নির্মাণ করেছিলেন বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী আরও বলেন, এর আগেও আমি এখানে এসেছিলাম, এখানে যতই আসি ততই মুগ্ধ হই।

অনাথ শিশুদের এ আশ্রম, যেটি আমি ইউটিউব এ সার্চ করে দেখেছিলাম, তখনই আসার জন্য মনস্থির করি। আজকে এসে অনেক ভাল লাগলো।

এই শিশুরা একদিন বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে, এ ঐতিহাসিক স্থাপনাটি যাতে স্থায়ীত্ব এবং সমৃদ্ধি লাভ করে সেক্ষেত্রে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. আসাদুজ্জামান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু, সহকারি একান্ত সচিব মনির হোসেন, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন, রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারের পরিচালক কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রামু ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।