যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম এর আমন্ত্রনে অধ্যাপক ডঃ জিনবোধি মহাথের এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট কাউন্সিল, যুক্তরাজ্য এর একটি প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক ডঃ জিনবোধি মহাথের তার লেখা ৩টি বই হাই কমিশনারকে হস্তান্তর করেন। যুক্তরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশী বৌদ্ধ বিহার এর প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা হয়। হাই কমিশনার প্রজেক্টের নাম Bangladesh Buddhist Temple and Meditation Centre রাখার প্রস্তাব করেন। উনি জাতীয়তা ও পরিচয়ের সুবিধার্থে প্রজেক্টের নামকরণে Bangladesh and Buddhist Temple রাখতে পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী আলোচনায় ডঃ জিনবোধি মহাথের আবহমান কাল হতে বর্তমান সময় অব্দি বাংলাদেশে বৌদ্ধদের অতীত ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্হা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আলোচনা মূল বিষয়বস্তু ছিলো “যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার প্রসঙ্গ” । হাইকমিশন – বাংলাদেশ দূতাবাস, সরকার , বিশ্বের বিভিন্ন বৌদ্ধ দূতাবাসে ও চ্যারিটি সংস্হাগুলির সাথে একটি সংযোগ করে দেওয়ার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন।
হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম, অধ্যাপক ডঃ জিনবোধি মহাথেরর সাথে আলোচনায় এতোই আপ্লুত হন , উনি ভান্তের বাংলায় লিখা বইগুলো ইংরেজীতে অনুবাদ করে বৃটিশ লাইব্রেরিতে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। চর্যাপদ ও বৌদ্ধ ইতিহাস নিয়ে হাইকমিশন কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভার প্রস্তাব পেশ করেন।
Bangladesh Buddhist Council UK সম্মানিত সদস্যরা এই সময় হাইকমিশনারকে Bangladesh Buddhist Temple প্রজেক্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্মন্ধে জ্ঞাত করেন। হাইকমিশনার কর্মপরিকল্পনা সফলতার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এই সময় সংগঠনের সভাপতি সজীব চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক সুমন বড়ুয়া চৌধুরী, সহ সভাপতিঃ টিপলু বড়ুয়া , সহ সভাপতিঃ সৌরভ বড়ুয়া, সহ সভাপতি মীরা বড়ুয়া, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদিকা মুনমুন বড়ুয়া ডানা, বিহার কমিটি যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আনন্দ সিংহ, বিহার কমিটির অর্থ সম্পাদক অজিত বড়ুয়া, Bangladesh Buddhist Council UK (Youth) এর আহবায়কঃ চৈতি বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।