বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এতে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে অংশ নেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, গৌতম বুদ্ধ শান্তির বাণী প্রচার করে গেছেন। বৌদ্ধদের এ উৎসবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কারণে সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়েরর উদ্দেশে তিনি বলেন, বৌদ্ধদের সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে চিনি, তারা দেশকে ভালোবাসেন। রাজনৈতিক হানাহানিতে তারা নেই। তারপরও তারা কক্সবাজারে আক্রান্ত হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি হিংসামুক্ত এখনও এ কথা দাবি করতে পারি না। রাজনীতিতে নষ্ট ধারা এখনও প্রবাহিত। শান্তির রাজনীতি পদে পদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সমাজে শান্তির সুবাতাস আনতে রাজনীতির অধিপতিদের দায়িত্ব নিতে হবে।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে আমি যাদের প্রতি মুগ্ধ তার মধ্যে গৌতম বুদ্ধ অন্যতম।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু সত্যপ্রিয় মহাথেয় তার বন্ধুবৎস ছিলেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি চেতনা ও মন মানসিকতা, স্বভাবে গৌতম বুদ্ধকে অনুসরণ করেন।
শান্তি শোভাযাত্রা বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, থাইল্যান্ড ও চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ বৌদ্ধ ধর্মের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।