০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবারনা পূর্ণিমায় রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার দাবি বৌদ্ধ সমাজের

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০৬:০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৯০ বার পড়া হয়েছে

আগামী ২৮ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমার তিথি রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ। আজ (২৩ অক্টোবর) সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধ সমাজের নেতারা এ দাবি জানান। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সাথে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগও।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সুমন কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হবে। তিথি বা পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে প্রবারণা অনুষ্ঠিত হয় বিধায় এক বছর আগে থেকে এই উৎসবের দিন-তারিখ সরকারি-বেসরকারি পঞ্জিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাদের প্রত্যাশা ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বিবেচনায় পূর্ণিমা তিথি রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত থাকবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ও অসাবধানতাবশত প্রবারণা পূর্ণিমার দিন ঘোষিত একাধিক কর্মসূচি ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মাঝে ভীতির সঞ্চার করেছে।

নির্বিঘ্নে প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের সুযোগ করে দিতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমা ভ্রাতৃপ্রতিম ইসলাম, হিন্দু ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ জাতি-গোষ্ঠীকেও আকর্ষণ করে। ঐতিহ্যবাহী ‘ফানুস উত্তোলন উৎস’ হিসেবে পরিচিত সর্বজনীন উৎসবে অংশগ্রহণে তারা অধীর অপেক্ষায় আছেন। তাই প্রবারণা পূর্ণিমা তিথিতে প্রস্তাবিত রাজনৈতিক কর্মসূচি বিশেষ মানবিক বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি দিব্যেন্দু বিকাশ বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমার মত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিন পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশে হিংসা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ-সংঘাত বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অসংখ্য নারী পুরুষ ধর্ম পালনে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই প্রবারনা পূর্ণিমায় রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার অনুরোধ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মমিত্র মহাথের, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বুদ্ধানন্দ মহাথের , সাবেক সভাপতি নেত্রসেন বড়ুয়া, ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক ভিক্ষু শ্রদ্ধানন্দ থের, বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহ-সভাপতি রনজিৎ বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার অনুপম বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতি ঢাকার সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, যুবনেতা রাহুল বড়ুয়া, কল্লোল বড়ুয়া, দিবাশোক বড়ুয়া স্বপন, রঞ্জন বড়ুয়া, দোলন বড়ুয়া, রূপায়ণ বড়ুয়া, কিশোর বড়ুয়া, শীলব্রত বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, প্রকৌশলী মিহির বড়ুয়া, সাংবাদিক নিপু বড়ুয়া, অমল বড়ুয়া ও নারী নেত্রী মধুমিতা বড়ুয়া চৌধুরী, অভিজিত বড়ুয়া, ছোটন বড়ুয়া ও রঞ্জন বড়ুয়া ছুটু প্রমুখ।

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

সৈয়দবাড়ী ধর্ম প্রবর্তন বৌদ্ধ বিহার দ্বিতীয় ভবনের দ্বারোদ্‌ঘাটন , কর্মবীর করুণাশ্রী থের’র “মহাথের বরণ” ১৯ , ২০ ডিসেম্বর

You cannot copy content of this page

প্রবারনা পূর্ণিমায় রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার দাবি বৌদ্ধ সমাজের

আপডেট সময় ০৬:০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

আগামী ২৮ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমার তিথি রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ। আজ (২৩ অক্টোবর) সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধ সমাজের নেতারা এ দাবি জানান। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সাথে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগও।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সুমন কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হবে। তিথি বা পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে প্রবারণা অনুষ্ঠিত হয় বিধায় এক বছর আগে থেকে এই উৎসবের দিন-তারিখ সরকারি-বেসরকারি পঞ্জিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাদের প্রত্যাশা ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বিবেচনায় পূর্ণিমা তিথি রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত থাকবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ও অসাবধানতাবশত প্রবারণা পূর্ণিমার দিন ঘোষিত একাধিক কর্মসূচি ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মাঝে ভীতির সঞ্চার করেছে।

নির্বিঘ্নে প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের সুযোগ করে দিতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমা ভ্রাতৃপ্রতিম ইসলাম, হিন্দু ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ জাতি-গোষ্ঠীকেও আকর্ষণ করে। ঐতিহ্যবাহী ‘ফানুস উত্তোলন উৎস’ হিসেবে পরিচিত সর্বজনীন উৎসবে অংশগ্রহণে তারা অধীর অপেক্ষায় আছেন। তাই প্রবারণা পূর্ণিমা তিথিতে প্রস্তাবিত রাজনৈতিক কর্মসূচি বিশেষ মানবিক বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি দিব্যেন্দু বিকাশ বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমার মত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিন পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশে হিংসা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ-সংঘাত বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অসংখ্য নারী পুরুষ ধর্ম পালনে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই প্রবারনা পূর্ণিমায় রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার অনুরোধ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মমিত্র মহাথের, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বুদ্ধানন্দ মহাথের , সাবেক সভাপতি নেত্রসেন বড়ুয়া, ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক ভিক্ষু শ্রদ্ধানন্দ থের, বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহ-সভাপতি রনজিৎ বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার অনুপম বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতি ঢাকার সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, যুবনেতা রাহুল বড়ুয়া, কল্লোল বড়ুয়া, দিবাশোক বড়ুয়া স্বপন, রঞ্জন বড়ুয়া, দোলন বড়ুয়া, রূপায়ণ বড়ুয়া, কিশোর বড়ুয়া, শীলব্রত বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, প্রকৌশলী মিহির বড়ুয়া, সাংবাদিক নিপু বড়ুয়া, অমল বড়ুয়া ও নারী নেত্রী মধুমিতা বড়ুয়া চৌধুরী, অভিজিত বড়ুয়া, ছোটন বড়ুয়া ও রঞ্জন বড়ুয়া ছুটু প্রমুখ।