০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরলোকে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুদত্ত মুৎসুদ্দি

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০২:৪১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে মরনব্যাধি ক্যানসারের কাছে হার মানলেন রাউজান উপজেলার মহামুনি পাহাড়তলী গ্রামের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুদত্ত মুৎসুদ্দি।

আজ রবিবার ২৩ এপ্রিল সকাল ৮.১০ টায় নগরীর একটি ক্লিনিকে পরলোকগমন করেন। (অনিচ্চা বত সাংখারা……)

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সুদত্ত মুৎসুদ্দি বহুমাত্রিক জ্ঞানের অধিকারী।বৌদ্ধসমাজের চিরাচরিত কিছু কুসংস্কার ও প্রকৃত ধর্ম আর সমাজ নিয়ে তিনি বেশকিছু বই লিখেছেন যা পাঠক সমাজে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসিত হয়েছে।তিনি কয়েকটি নামকরা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।তাঁর বহু ছাত্রছাত্রী ব্যক্তিগত ও রাস্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত।

আজ বিকালে রাউজানের মহামুনি মহানন্দ সংঘরাজ বিহারে  তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

 রাউজানের ঐতিহ্যবাহী মহামুনি পাহাড়তলী শিক্ষা ও সংস্কৃতিরচারণভূমিতে সুদত্ত মুৎসুদ্দি জন্ম গ্রহণ করেন পিতা মুণীন্দ্র লাল মুৎসুদ্দি বি.এ.  ঔরসে ও লাবণ্য মুৎসুদ্দির গর্ভে ১৯৫৩ ইং সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। পিতৃদেব মুণীন্দ্র লাল মুৎসুদ্দি বৃটিশ-ভারতে বি.এ. পাশ করেও কোনো সরকারী চাকরি গ্রহণ না করে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে “অনুশীলনী সমিতি” র সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর মাতৃদেবী ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার বিখ্যাত জমিদার রেবতী রঞ্জন তালুকদারের দ্বিতীয় কন্যা। তাঁর নিজের বংশও গৌরবোজ্জ্বল। তাঁর জ্যাষ্ঠভ্রাতা দীপক মুৎসুদ্দি বিশিষ্ট প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি সপরিবারে ইংল্যান্ডের অধিবাসী ছিলেন এবং সেখানেই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যু বরণ করেন। মেজভাই বিশিষ্ট চিকিৎসক পুলক মুৎসুদ্দি ভারতে স্থায়ী অধিবাসী। একজন কনিষ্ঠ ভ্রাতা নান্টু মুৎসুদ্দি একজন সফল গৃহী।এই চার ভাইয়ের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব থাকলেওতাঁদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিলো।
 সুদত্ত মুৎসুদ্দি একজন সফল শিক্ষাবিদ। শুধু শিক্ষক নয়, প্রধান শিক্ষক হিসেবেও তিনি সফল। যার ফলপ্রসূ হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদায় ভূমিকা রাখেন। যাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দি একজন বিরল প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব। তিনি সমাজের গৌরব ও অহংকার। তিনি শিক্ষাজীবনে বিজ্ঞানের প্রতিভাধর শিক্ষার্থী।
যাদুশিল্পও বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত একটি মোহনীয় বিষয়। তিনি শিক্ষাজীবন থেকেই কর্মপ্রিয় এবং সৃজনশীল ছিলেন। যার পরিচয় মেলে পাঠাগার সৃষ্টির
মাধ্যমে। নিজের মায়ের নামে ১৯৭০ সালে তাঁর সৃষ্ট “লাবণ্য পাঠাগার”। ১৯৭৩ ইং সালে “চট্টল ম্যাজিক সার্কেল” এবং ১৯৯৮ ইং সালে তিনি “মায়ামঞ্চ ম্যাজিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিনি অনেক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে
যাদুশিল্পী তৈরি করে এই শিল্পকে বিকশিত করার প্রয়াস গ্রহণ করেন। যাদুশিল্পকে তিনিই মহামুনিতে আনেন ও চর্চা করেন।
যাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দি বিগত ৫০ বছর ব্যাপী একাদিক্রমে যাদুশিল্প বিকাশে কঠোর সাধনা ও পরিশ্রম করে যান।
যাদুশিল্পী হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন এবং যাদুশিল্প প্রদর্শনীতে অতুলনীয় অবদান রাখা ও কৃতিত্ব অর্জনের জন্য ০৯.১১.১৯৮০ ইং সালে “ন্যাশনাল ম্যাজিক এক্সপানশন সার্কেল” কর্তৃক তিনি অভিনন্দিত হন। ০২.০৩.১৯৯০ ইং সালে যাদুশিল্পে আত্মনিবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলাদেশ যাদু উন্নয়ন পরিষদ” থেকে তাঁকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ০৮.০৮.১৯৯৭ ইং সালে শিল্পকলা একাডেমিতে যাদুশিল্পী হিসেবে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন। ২৪.০৩.২০০১ ইং সালে ম্যাজিকে আত্মনিবেদন করতঃ নিজেকে উৎসর্গ করার Alliance Francaise চট্টগ্রামে Award প্রাপ্ত হন। ২২.০২.২০০২ ইং সালে পুনরায় শিল্পকলা একাডেমিতে পুরস্কৃত হন।
দেশের খ্যাতিমান এই গুণী শিল্পীকে ২১.০৬.২০১২ ইং সালে “ম্যাজিক ল্যান্ড” কর্তৃক সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। একই সালে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কান্ডের জন্য “অভিযাত্রিক পরিষদ” তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। কৃতী শিক্ষাবিদ হিসেবে ২০১২ ইং সালে “মহামুনি সংস্কৃতি সংঘ” তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। এই গুণী শিল্পীকে মহামুনি গ্রাম উন্নয়ন পরিষদ ২০১৪ ইং সালে সম্মাননা প্রদান করে।
তিনি যে শুধু যাদুশিল্পী তা নন, তিনি সাহিত্যেও যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। এর ফলপ্রসূ হিসেবে তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন এবং সেগুলো তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের সুযোগ লাভ করেন। এ গ্রন্থগুলো তাঁর সাহিত্যগুণ প্রচারে অত্যন্ত সহায়ক। তাঁর
প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঃ
ফুলতঞ্জা, গোষ্ঠীর পটভূমি, কালো অধ্যায়, মিথ্যা দৃষ্টি, দৃষ্টি পরিবর্তনের ঘণ্টা, বিকৃত ইতিহাস, ম্যাজিক বিজ্ঞান প্রভৃতি।
উল্লেখ্য যে, রেনেসাঁ মুৎসুদ্দি ও কুয়াশা মুৎসুদ্দিও তাদের বাবা যাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দির হাত ধরে বড়ো মাপের যাদুশিল্পী হওয়ার সাধনায় অবিচল রয়েছে।
সুদত্ত মুৎসুদ্দি একজন শুধু যাদুশিল্পীই নন বরং তিনি একজন সুদক্ষ সংগঠক এবং সুবক্তাও বটে।
শৈশব কাল থেকেই তিনি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতা বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সুদত্ত মুৎসুদ্দির একটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি হলো ঃ “লৌকিক বিশ্বের সকল ঘটনাই লৌকিক।”
কোনো ঘটনার বাস্তব ব্যাখ্যা যখন আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞানে খুঁজে না পাই তখন আমরা তাকে অলৌকিক ও মন্ত্রতন্ত্র বলে মনে করি। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সন্ধান করলে দেখা যায় সকল অলৌকিক ঘটনার পেছনে থাকে এক রহস্যময় লৌকিক কারণ।
(তথ্য: সংগ্রহ)
শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

পরলোকে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুদত্ত মুৎসুদ্দি

আপডেট সময় ০২:৪১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

অবশেষে মরনব্যাধি ক্যানসারের কাছে হার মানলেন রাউজান উপজেলার মহামুনি পাহাড়তলী গ্রামের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুদত্ত মুৎসুদ্দি।

আজ রবিবার ২৩ এপ্রিল সকাল ৮.১০ টায় নগরীর একটি ক্লিনিকে পরলোকগমন করেন। (অনিচ্চা বত সাংখারা……)

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সুদত্ত মুৎসুদ্দি বহুমাত্রিক জ্ঞানের অধিকারী।বৌদ্ধসমাজের চিরাচরিত কিছু কুসংস্কার ও প্রকৃত ধর্ম আর সমাজ নিয়ে তিনি বেশকিছু বই লিখেছেন যা পাঠক সমাজে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসিত হয়েছে।তিনি কয়েকটি নামকরা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।তাঁর বহু ছাত্রছাত্রী ব্যক্তিগত ও রাস্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত।

আজ বিকালে রাউজানের মহামুনি মহানন্দ সংঘরাজ বিহারে  তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

 রাউজানের ঐতিহ্যবাহী মহামুনি পাহাড়তলী শিক্ষা ও সংস্কৃতিরচারণভূমিতে সুদত্ত মুৎসুদ্দি জন্ম গ্রহণ করেন পিতা মুণীন্দ্র লাল মুৎসুদ্দি বি.এ.  ঔরসে ও লাবণ্য মুৎসুদ্দির গর্ভে ১৯৫৩ ইং সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। পিতৃদেব মুণীন্দ্র লাল মুৎসুদ্দি বৃটিশ-ভারতে বি.এ. পাশ করেও কোনো সরকারী চাকরি গ্রহণ না করে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে “অনুশীলনী সমিতি” র সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর মাতৃদেবী ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার বিখ্যাত জমিদার রেবতী রঞ্জন তালুকদারের দ্বিতীয় কন্যা। তাঁর নিজের বংশও গৌরবোজ্জ্বল। তাঁর জ্যাষ্ঠভ্রাতা দীপক মুৎসুদ্দি বিশিষ্ট প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি সপরিবারে ইংল্যান্ডের অধিবাসী ছিলেন এবং সেখানেই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যু বরণ করেন। মেজভাই বিশিষ্ট চিকিৎসক পুলক মুৎসুদ্দি ভারতে স্থায়ী অধিবাসী। একজন কনিষ্ঠ ভ্রাতা নান্টু মুৎসুদ্দি একজন সফল গৃহী।এই চার ভাইয়ের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব থাকলেওতাঁদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিলো।
 সুদত্ত মুৎসুদ্দি একজন সফল শিক্ষাবিদ। শুধু শিক্ষক নয়, প্রধান শিক্ষক হিসেবেও তিনি সফল। যার ফলপ্রসূ হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদায় ভূমিকা রাখেন। যাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দি একজন বিরল প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব। তিনি সমাজের গৌরব ও অহংকার। তিনি শিক্ষাজীবনে বিজ্ঞানের প্রতিভাধর শিক্ষার্থী।
যাদুশিল্পও বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত একটি মোহনীয় বিষয়। তিনি শিক্ষাজীবন থেকেই কর্মপ্রিয় এবং সৃজনশীল ছিলেন। যার পরিচয় মেলে পাঠাগার সৃষ্টির
মাধ্যমে। নিজের মায়ের নামে ১৯৭০ সালে তাঁর সৃষ্ট “লাবণ্য পাঠাগার”। ১৯৭৩ ইং সালে “চট্টল ম্যাজিক সার্কেল” এবং ১৯৯৮ ইং সালে তিনি “মায়ামঞ্চ ম্যাজিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিনি অনেক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে
যাদুশিল্পী তৈরি করে এই শিল্পকে বিকশিত করার প্রয়াস গ্রহণ করেন। যাদুশিল্পকে তিনিই মহামুনিতে আনেন ও চর্চা করেন।
যাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দি বিগত ৫০ বছর ব্যাপী একাদিক্রমে যাদুশিল্প বিকাশে কঠোর সাধনা ও পরিশ্রম করে যান।
যাদুশিল্পী হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন এবং যাদুশিল্প প্রদর্শনীতে অতুলনীয় অবদান রাখা ও কৃতিত্ব অর্জনের জন্য ০৯.১১.১৯৮০ ইং সালে “ন্যাশনাল ম্যাজিক এক্সপানশন সার্কেল” কর্তৃক তিনি অভিনন্দিত হন। ০২.০৩.১৯৯০ ইং সালে যাদুশিল্পে আত্মনিবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলাদেশ যাদু উন্নয়ন পরিষদ” থেকে তাঁকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ০৮.০৮.১৯৯৭ ইং সালে শিল্পকলা একাডেমিতে যাদুশিল্পী হিসেবে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন। ২৪.০৩.২০০১ ইং সালে ম্যাজিকে আত্মনিবেদন করতঃ নিজেকে উৎসর্গ করার Alliance Francaise চট্টগ্রামে Award প্রাপ্ত হন। ২২.০২.২০০২ ইং সালে পুনরায় শিল্পকলা একাডেমিতে পুরস্কৃত হন।
দেশের খ্যাতিমান এই গুণী শিল্পীকে ২১.০৬.২০১২ ইং সালে “ম্যাজিক ল্যান্ড” কর্তৃক সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। একই সালে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কান্ডের জন্য “অভিযাত্রিক পরিষদ” তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। কৃতী শিক্ষাবিদ হিসেবে ২০১২ ইং সালে “মহামুনি সংস্কৃতি সংঘ” তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। এই গুণী শিল্পীকে মহামুনি গ্রাম উন্নয়ন পরিষদ ২০১৪ ইং সালে সম্মাননা প্রদান করে।
তিনি যে শুধু যাদুশিল্পী তা নন, তিনি সাহিত্যেও যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। এর ফলপ্রসূ হিসেবে তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন এবং সেগুলো তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের সুযোগ লাভ করেন। এ গ্রন্থগুলো তাঁর সাহিত্যগুণ প্রচারে অত্যন্ত সহায়ক। তাঁর
প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঃ
ফুলতঞ্জা, গোষ্ঠীর পটভূমি, কালো অধ্যায়, মিথ্যা দৃষ্টি, দৃষ্টি পরিবর্তনের ঘণ্টা, বিকৃত ইতিহাস, ম্যাজিক বিজ্ঞান প্রভৃতি।
উল্লেখ্য যে, রেনেসাঁ মুৎসুদ্দি ও কুয়াশা মুৎসুদ্দিও তাদের বাবা যাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দির হাত ধরে বড়ো মাপের যাদুশিল্পী হওয়ার সাধনায় অবিচল রয়েছে।
সুদত্ত মুৎসুদ্দি একজন শুধু যাদুশিল্পীই নন বরং তিনি একজন সুদক্ষ সংগঠক এবং সুবক্তাও বটে।
শৈশব কাল থেকেই তিনি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতা বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সুদত্ত মুৎসুদ্দির একটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি হলো ঃ “লৌকিক বিশ্বের সকল ঘটনাই লৌকিক।”
কোনো ঘটনার বাস্তব ব্যাখ্যা যখন আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞানে খুঁজে না পাই তখন আমরা তাকে অলৌকিক ও মন্ত্রতন্ত্র বলে মনে করি। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সন্ধান করলে দেখা যায় সকল অলৌকিক ঘটনার পেছনে থাকে এক রহস্যময় লৌকিক কারণ।
(তথ্য: সংগ্রহ)