০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালিতে বৌদ্ধদের চলাচলের ২শ বছরের পুরানো রাস্তা জোরপূর্বক দখল

প্রায় ২শ সন্ত্রাসী দিয়ে বৌদ্ধদের চলাচলের ২শ বছরের পুরানো রাস্তাসহ পাশের খালি জায়গাটি দখল করে নেয় ভূমিদস্যুরা।

নোয়াখালীর সেনবাগের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ গ্রামের প্রায় ২শ বছরের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মান করে প্রবাসী লোকমান হোসেন নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় বৌদ্ধরা মানবন্ধন করে ইউএনও কে অবহিত করলে তিনি এসে রাস্তা খুলে দেন। এবং উভয়পক্ষের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ইউএনও এর অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

কিন্তু গতকাল দিবাগত রাতে স্বসস্ত্র মহড়া দিয়ে প্রায় ২শ সন্ত্রাসীদের দিয়ে দখল করার জন্য টিনের বাড়িটিকে পিছনের একটি অসহায় বড়ুয়া পরিবারের জায়গা থেকে বর্ধিত করে নেয় পাশাপাশি পিছনের পুরো খালি জায়গাটিও দখল করে নেয়। এবং প্রকাশ্যে চীৎকার দিয়ে সবাইকে হুমকি দেয়, যে এই জায়গায় নামবে তার লাশ পড়বে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রধান রাস্তার সম্মূখভাগের এক টুকরো জায়গা কিনে প্রায় ২৫০ বছরের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল পরে রাস্তার জায়গা খুলে দেন এসি ল্যান্ড ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তানজিম আলম তুলি। তিনি উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসার জন্য অফিসে আহবান জানান।

গ্রামবাসীর দাবী, পূর্বে ঐ জমি বৌদ্ধদের ছিল, তাই পথের জন্য কখনও ঝামেলা হয়নি। কালক্রমে হাত বদল হয়ে মুসলিমদের কাছে বিক্রি হয়। আগের মালিকও বাঁধা দেননি। কিন্তু বিগত ৩/৪ মাস আগে গোপনে লোকমান হোসেন কিনে নিয়ে খতিয়ান করেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।

অভিযুক্ত প্রবাসী লোকমান হোসেনের সাথে ফোনে কথা বলে জানা যায়, তিনি টাকা দিয়ে জমি কিনে তা খতিয়ান করেছেন। সরকারী নিয়মকানুন মেনেই সব কিছুই করেছেন। তিনি রাস্তার জায়গা দিবেন না। তার জায়গার সাথের জায়গা দিলেই সে রাস্তা দিবে। অন্যথা সে অন্য কোন শর্ত মানবেন না।

স্থানীয় গ্রামের নেতা বিপ্রসেন বড়ুয়া মাস্টার বলেন, এখানের বৌদ্ধরা খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকের মাথার ঠাই টুকুও নেই। গ্রামের চলাচলের কথা ভেবে যার যার জায়গা পড়ে তা ছেড়ে দিয়েছে। জনগোষ্ঠীর এই টাকা দিয়ে পথটুকু কেনার সামর্থ্য নেই।

তারপর সাংবাদিক প্রদীপ জয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লোকমান হোসেনকে উক্ত চলাচলের রাস্তার জায়গার জন্য মূল্য দিতে চাইলে তিনি টাকা নিতে অস্বীকার করেন। তিনি জায়গার পরিবর্তে জায়গা দাবী করেন। পরে ইউএনও অফিসে আলোচনায় বসার আহবান করেন। তিনি ইউএনও এবং ইউএনও কে উপেক্ষা করে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীদের দিয়ে রাস্তার পরিবর্তে জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জায়গাটিও দখল করে নেন। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করছেন বলেও জানা যায়।

এদিকে আজ বাংলাদেশ বৌদ্ধ গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডুমুরুয়া ইউনিয়নের মতইন বড়ুয়া পাড়া পরিদর্শন করেন । তারা জানান, সংখ্যালঘু বড়ুয়াদের একমাত্র চলাচল রাস্তা ভূমিদস্যু দ্বারা অবরোধ সৃজন করে স্বাভাবিক চলাচলপথ বন্ধ করে ভীতিকর আতংক সৃষ্টি করা হয়েছে।পরিবেশ পরিস্থিতি ভূমিদস্যুর দখলে।

প্রথমে উপজেলা প্রশাসন এগিয়ে এলেও, পরে অজ্ঞাত কারণে সেই সাহায্য করার স্থানীয় প্রশাসনে মোবাইলে যোগাযোগ করেও কথা বলতে পারিনি ফোন তুলেনি। সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় এ স্থানীয় প্রতিনিধি স্কুল শিক্ষককে কমিশনারের সামনে বৈঠকে যুবলীগ নেতারা পা কেটে নেবার হুমকী প্রদর্শন করলে, এই হুমকী জন্য কিছু সাহায্য চাইলে তা সহকারী কমিশনার ম্যাজিষ্ট্রেট কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদলের পক্ষেই সাফাই গাইতে থাকে, সেই স্কুল শিক্ষক অসহায়ের মত কমিশনার অফিস হতে নীরবে প্রস্থান করেন ।
পরদিন পাড়ায় বড়ুয়া সম্প্রদায় লোকজন সাথে এই বিষয়ে সভাচলাকালে, ভূমিদস্যু চক্র, ঐ স্কুল শিক্ষককে চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে, চলাচল রাস্তা মাত্র . ০০২৫ সহস্রাংশ জন্য মূল্যবান কোটি টাকার অন্যজমি দাবী করে, যা ইতিপূর্বে টি এন ও, সহকারী কমিশনার ও একই দাবী করে বসে । ইজম্যান্ট জায়গার মূল্য দাম নিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। ইজম্যন্ট রাইট বাদ দাও, মূল্যবান পাশের কোটি টাকার জমি দাও না হয় চলাচল বন্ধ রাস্তা খুলবে না, প্রশাসনের একি কথা দাবী ভূমিদস্যু চক্রের সরকারী দলের নেতারা দাবী করে বসে। অন্যথা বড়ুয়া পাড়ায় ঢুকে প্রত্যেক বাড়ী বাড়ী গিয়ে যা করার করবে বলে হুমকী দেয়ে সরকারী নেতারা আর ভূমিদস্যু। সরকারী দলের অন্যান্যরা বলতে থাকে তোমরা ভারতে চলে যাও ।
আমাদের অবুঝ লোকেরা মইতন বৌদ্ধ পল্লী থেকে শিক্ষা নিবে কিনা জানি না, উল্টো মন্দ বলবে কেউ কেউ । ঘুরে এসে মনে হয়েছে ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু ডাকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে, মা বোন ইজ্জত দিয়ে, ঘরবাড়ী হারিয়ে শরণার্থী হয়ে কি পেল!
হায় স্বাধীনতা! কেন আমার ভাই জীবন দিল, মা-বোন ইজ্জতভ্রষ্ট হল কে জবাব দেবে । এই দেশ আমার নয়, সংখ্যালঘু হওয়া পাপ, দু:খ বেদনার।
আমাদের মৃত্যুর পর যেন সংখ্যালঘু হয়ে জন্ম না হয় সে প্রার্থনাই এখন সম্বল ।
১৯৯০ সালে বাবরী মসজিদ ধ্বংস, ১৯৯২ সালে ১১ নভেম্বর চার দলীয় জোট ক্ষমতা আসার পর প্রথম ধ্বংসের নিশানা মুছে যাইনি, সেইবার ঘরবাড়ী লুট অগ্নিসংযোগ, ধর্ষনের মত বর্বরতা ছিল, সেই নিচিহ্ন বৌদ্ধ মন্দিরে ধপধপ করে জানান দিচ্ছে আতংক বিবৎসাতা । এখন সেই মন্দির ও পরিত্যক্ত।
এখন ভূমিদস্যু সাথে ক্ষমতাশীল দল, প্রশাসন একজোট।
উল্লেখ্য, ১৯১০ সালে উক্ত বৌদ্ধ গ্রামে মতইন বৌদ্ধ বিহারটি নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু ভারতের বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার ইস্যুতে উক্ত বড়ুয়া পাড়াসহ বৌদ্ধ বিহারটিতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন উগ্রবাদীরা। তাই ১৯৯২ সালে নিরাপত্তার খাতিরে তৎকালীন ১০ম সঙ্ঘরাজ জ্যোতিপাল ভিক্ষুর তত্ত্বাবধানে গ্রামের অভ্যান্তরে পুনঃনির্মিত হয়। তখন থেকে এখনও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন যাপন করে আসছে অন্যদিকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর র্যা ব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বৌদ্ধরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পাদন করে আসছে।
শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

নোয়াখালিতে বৌদ্ধদের চলাচলের ২শ বছরের পুরানো রাস্তা জোরপূর্বক দখল

আপডেট সময় ১০:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

প্রায় ২শ সন্ত্রাসী দিয়ে বৌদ্ধদের চলাচলের ২শ বছরের পুরানো রাস্তাসহ পাশের খালি জায়গাটি দখল করে নেয় ভূমিদস্যুরা।

নোয়াখালীর সেনবাগের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ গ্রামের প্রায় ২শ বছরের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মান করে প্রবাসী লোকমান হোসেন নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় বৌদ্ধরা মানবন্ধন করে ইউএনও কে অবহিত করলে তিনি এসে রাস্তা খুলে দেন। এবং উভয়পক্ষের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ইউএনও এর অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

কিন্তু গতকাল দিবাগত রাতে স্বসস্ত্র মহড়া দিয়ে প্রায় ২শ সন্ত্রাসীদের দিয়ে দখল করার জন্য টিনের বাড়িটিকে পিছনের একটি অসহায় বড়ুয়া পরিবারের জায়গা থেকে বর্ধিত করে নেয় পাশাপাশি পিছনের পুরো খালি জায়গাটিও দখল করে নেয়। এবং প্রকাশ্যে চীৎকার দিয়ে সবাইকে হুমকি দেয়, যে এই জায়গায় নামবে তার লাশ পড়বে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রধান রাস্তার সম্মূখভাগের এক টুকরো জায়গা কিনে প্রায় ২৫০ বছরের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল পরে রাস্তার জায়গা খুলে দেন এসি ল্যান্ড ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তানজিম আলম তুলি। তিনি উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসার জন্য অফিসে আহবান জানান।

গ্রামবাসীর দাবী, পূর্বে ঐ জমি বৌদ্ধদের ছিল, তাই পথের জন্য কখনও ঝামেলা হয়নি। কালক্রমে হাত বদল হয়ে মুসলিমদের কাছে বিক্রি হয়। আগের মালিকও বাঁধা দেননি। কিন্তু বিগত ৩/৪ মাস আগে গোপনে লোকমান হোসেন কিনে নিয়ে খতিয়ান করেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।

অভিযুক্ত প্রবাসী লোকমান হোসেনের সাথে ফোনে কথা বলে জানা যায়, তিনি টাকা দিয়ে জমি কিনে তা খতিয়ান করেছেন। সরকারী নিয়মকানুন মেনেই সব কিছুই করেছেন। তিনি রাস্তার জায়গা দিবেন না। তার জায়গার সাথের জায়গা দিলেই সে রাস্তা দিবে। অন্যথা সে অন্য কোন শর্ত মানবেন না।

স্থানীয় গ্রামের নেতা বিপ্রসেন বড়ুয়া মাস্টার বলেন, এখানের বৌদ্ধরা খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকের মাথার ঠাই টুকুও নেই। গ্রামের চলাচলের কথা ভেবে যার যার জায়গা পড়ে তা ছেড়ে দিয়েছে। জনগোষ্ঠীর এই টাকা দিয়ে পথটুকু কেনার সামর্থ্য নেই।

তারপর সাংবাদিক প্রদীপ জয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লোকমান হোসেনকে উক্ত চলাচলের রাস্তার জায়গার জন্য মূল্য দিতে চাইলে তিনি টাকা নিতে অস্বীকার করেন। তিনি জায়গার পরিবর্তে জায়গা দাবী করেন। পরে ইউএনও অফিসে আলোচনায় বসার আহবান করেন। তিনি ইউএনও এবং ইউএনও কে উপেক্ষা করে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীদের দিয়ে রাস্তার পরিবর্তে জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জায়গাটিও দখল করে নেন। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করছেন বলেও জানা যায়।

এদিকে আজ বাংলাদেশ বৌদ্ধ গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডুমুরুয়া ইউনিয়নের মতইন বড়ুয়া পাড়া পরিদর্শন করেন । তারা জানান, সংখ্যালঘু বড়ুয়াদের একমাত্র চলাচল রাস্তা ভূমিদস্যু দ্বারা অবরোধ সৃজন করে স্বাভাবিক চলাচলপথ বন্ধ করে ভীতিকর আতংক সৃষ্টি করা হয়েছে।পরিবেশ পরিস্থিতি ভূমিদস্যুর দখলে।

প্রথমে উপজেলা প্রশাসন এগিয়ে এলেও, পরে অজ্ঞাত কারণে সেই সাহায্য করার স্থানীয় প্রশাসনে মোবাইলে যোগাযোগ করেও কথা বলতে পারিনি ফোন তুলেনি। সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় এ স্থানীয় প্রতিনিধি স্কুল শিক্ষককে কমিশনারের সামনে বৈঠকে যুবলীগ নেতারা পা কেটে নেবার হুমকী প্রদর্শন করলে, এই হুমকী জন্য কিছু সাহায্য চাইলে তা সহকারী কমিশনার ম্যাজিষ্ট্রেট কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদলের পক্ষেই সাফাই গাইতে থাকে, সেই স্কুল শিক্ষক অসহায়ের মত কমিশনার অফিস হতে নীরবে প্রস্থান করেন ।
পরদিন পাড়ায় বড়ুয়া সম্প্রদায় লোকজন সাথে এই বিষয়ে সভাচলাকালে, ভূমিদস্যু চক্র, ঐ স্কুল শিক্ষককে চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে, চলাচল রাস্তা মাত্র . ০০২৫ সহস্রাংশ জন্য মূল্যবান কোটি টাকার অন্যজমি দাবী করে, যা ইতিপূর্বে টি এন ও, সহকারী কমিশনার ও একই দাবী করে বসে । ইজম্যান্ট জায়গার মূল্য দাম নিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। ইজম্যন্ট রাইট বাদ দাও, মূল্যবান পাশের কোটি টাকার জমি দাও না হয় চলাচল বন্ধ রাস্তা খুলবে না, প্রশাসনের একি কথা দাবী ভূমিদস্যু চক্রের সরকারী দলের নেতারা দাবী করে বসে। অন্যথা বড়ুয়া পাড়ায় ঢুকে প্রত্যেক বাড়ী বাড়ী গিয়ে যা করার করবে বলে হুমকী দেয়ে সরকারী নেতারা আর ভূমিদস্যু। সরকারী দলের অন্যান্যরা বলতে থাকে তোমরা ভারতে চলে যাও ।
আমাদের অবুঝ লোকেরা মইতন বৌদ্ধ পল্লী থেকে শিক্ষা নিবে কিনা জানি না, উল্টো মন্দ বলবে কেউ কেউ । ঘুরে এসে মনে হয়েছে ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু ডাকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে, মা বোন ইজ্জত দিয়ে, ঘরবাড়ী হারিয়ে শরণার্থী হয়ে কি পেল!
হায় স্বাধীনতা! কেন আমার ভাই জীবন দিল, মা-বোন ইজ্জতভ্রষ্ট হল কে জবাব দেবে । এই দেশ আমার নয়, সংখ্যালঘু হওয়া পাপ, দু:খ বেদনার।
আমাদের মৃত্যুর পর যেন সংখ্যালঘু হয়ে জন্ম না হয় সে প্রার্থনাই এখন সম্বল ।
১৯৯০ সালে বাবরী মসজিদ ধ্বংস, ১৯৯২ সালে ১১ নভেম্বর চার দলীয় জোট ক্ষমতা আসার পর প্রথম ধ্বংসের নিশানা মুছে যাইনি, সেইবার ঘরবাড়ী লুট অগ্নিসংযোগ, ধর্ষনের মত বর্বরতা ছিল, সেই নিচিহ্ন বৌদ্ধ মন্দিরে ধপধপ করে জানান দিচ্ছে আতংক বিবৎসাতা । এখন সেই মন্দির ও পরিত্যক্ত।
এখন ভূমিদস্যু সাথে ক্ষমতাশীল দল, প্রশাসন একজোট।
উল্লেখ্য, ১৯১০ সালে উক্ত বৌদ্ধ গ্রামে মতইন বৌদ্ধ বিহারটি নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু ভারতের বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার ইস্যুতে উক্ত বড়ুয়া পাড়াসহ বৌদ্ধ বিহারটিতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন উগ্রবাদীরা। তাই ১৯৯২ সালে নিরাপত্তার খাতিরে তৎকালীন ১০ম সঙ্ঘরাজ জ্যোতিপাল ভিক্ষুর তত্ত্বাবধানে গ্রামের অভ্যান্তরে পুনঃনির্মিত হয়। তখন থেকে এখনও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন যাপন করে আসছে অন্যদিকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর র্যা ব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বৌদ্ধরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পাদন করে আসছে।