০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দালাই লামা সহ ৩৩জন বৌদ্ধ পণ্ডিতের বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০২:১৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

দালাই লামা সহ ৩৩জন পণ্ডিত সহ বৌদ্ধ ভিক্ষু ও পূর্ণার্থীরা  বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দিরে অবস্থিত স্তূপের কাছে বোধিবৃক্ষের নীচে বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানে তিব্বতের ধর্মীয় গুরু দালাই লামাসহ দেহ বিদেশের ৩৩জন বৌদ্ধ পণ্ডিত, ভিক্ষু ও ভক্তরা অংশ নেন।

এদিন দালাই লামা বলেন, বুদ্ধগয়া একটি পবিত্র ভূমি। এই ভূমি বিশ্বের বিশেষ স্থানগুলির মধ্যে একটি। বুদ্ধভূমিতে এসে সবাই শান্তি অনুভব করে। ভগবান বুদ্ধ এই পবিত্র ভূমিতে জ্ঞানলাভ করেছিলেন। সারা বিশ্বের মানুষ এখানে ভগবান বুদ্ধের দর্শন করতে আসেন। সবাই এখানে শান্তি খুঁজে পায়। বুদ্ধগয়া পৃথিবীর একটি বিশেষ স্থান। মহাবোধি বিহারে বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনায় বিহার চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি’ মন্ত্রে।

বৌদ্ধ পণ্ডিত ও ভক্তরা নিজের নিজের ভাষায় বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা করেন।

ভারতীয় ভাষা দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা। এরপর শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, তিব্বত, জাপান প্রভৃতি দেশের ভাষায় বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে বিভিন্ন দেশের ভাষায় বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা জানান হয়।

১৫ ডিসেম্বর বুদ্ধগয়ায় আসেন তিব্বতের ধর্মীয় গুরু দালাই লামা। তিনি বুদ্ধগয়ার তিব্বত বিহারে থাকছেন। দালাই লামা বুদ্ধগয়ায় ২৬ দিনের সফরে এসেছেন। এই সময়কালে তিব্বতী বিহার থেকে মহাবোধি বিহার পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

বান্দরবানে মংশৈপ্রু পাড়া বৌদ্ধ বিহারে আগুন

You cannot copy content of this page

দালাই লামা সহ ৩৩জন বৌদ্ধ পণ্ডিতের বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

আপডেট সময় ০২:১৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দালাই লামা সহ ৩৩জন পণ্ডিত সহ বৌদ্ধ ভিক্ষু ও পূর্ণার্থীরা  বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দিরে অবস্থিত স্তূপের কাছে বোধিবৃক্ষের নীচে বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানে তিব্বতের ধর্মীয় গুরু দালাই লামাসহ দেহ বিদেশের ৩৩জন বৌদ্ধ পণ্ডিত, ভিক্ষু ও ভক্তরা অংশ নেন।

এদিন দালাই লামা বলেন, বুদ্ধগয়া একটি পবিত্র ভূমি। এই ভূমি বিশ্বের বিশেষ স্থানগুলির মধ্যে একটি। বুদ্ধভূমিতে এসে সবাই শান্তি অনুভব করে। ভগবান বুদ্ধ এই পবিত্র ভূমিতে জ্ঞানলাভ করেছিলেন। সারা বিশ্বের মানুষ এখানে ভগবান বুদ্ধের দর্শন করতে আসেন। সবাই এখানে শান্তি খুঁজে পায়। বুদ্ধগয়া পৃথিবীর একটি বিশেষ স্থান। মহাবোধি বিহারে বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনায় বিহার চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি’ মন্ত্রে।

বৌদ্ধ পণ্ডিত ও ভক্তরা নিজের নিজের ভাষায় বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা করেন।

ভারতীয় ভাষা দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা। এরপর শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, তিব্বত, জাপান প্রভৃতি দেশের ভাষায় বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে বিভিন্ন দেশের ভাষায় বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা জানান হয়।

১৫ ডিসেম্বর বুদ্ধগয়ায় আসেন তিব্বতের ধর্মীয় গুরু দালাই লামা। তিনি বুদ্ধগয়ার তিব্বত বিহারে থাকছেন। দালাই লামা বুদ্ধগয়ায় ২৬ দিনের সফরে এসেছেন। এই সময়কালে তিব্বতী বিহার থেকে মহাবোধি বিহার পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।