০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামি ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতেই শাওন বড়ুয়াকে হত্যা

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০৭:৪২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯৪৭ বার পড়া হয়েছে

একটি বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরেই চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ। শাওন হত্যার একদিন পরই বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ৫ আসামিকে কৌশলে গ্রেফতার করা হয়। মূলত এরা ৫ জন মিলে শাওনের দামি ক্যামেরা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ক্যামেরা না দেয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি ইমন বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছে নিহত ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়ার কাছে। মূলত এই ছবির সূত্র ধরেই বিস্তৃত তদন্ত থেকে উদঘাটন করা হলো চাঞ্চল্যকর হতাকাণ্ডের রহস্য।

পুলিশ জানায়, পাঁচ আসামি মুরাদ, তৌহিদ, বাহার, আলমগীরকে নিয়ে আরশাদুল আলম ইমন পরিকল্পনা করে। উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফার শাওনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার। শাওনের ফেসবুক পেইজ থেকে নাম্বার নিয়ে বিকাশে ৫০০ টাকা অগ্রিম পাঠায়। আসতে বলে চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই এলাকায়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে অনন্যা আবাসিক এলাকায় গেলে তার মোটরসাইকেল আটকে দামি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। না দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে প্রধান আসামি ইমতিয়াজ আলম মুরাদ শাওনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে সবাই ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার পঙ্কজ দত্ত জানান, তাদের সবার উদ্দেশ্য ছিল ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া। কিন্তু ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে খুন হয় শাওন। তবে ছুরি দিয়ে ৬টি আঘাত করেছে মুরাদ।

ঘটনার পর পরই তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ। বুধবার ভোরে নগরীর কাপ্তাই থেকে প্রথমে ইমনকে। পরে তার দেখানো পথ ধরে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয় নানা জায়গা থেকে।

চান্দগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছাবেদ আলী বলেন, আমরা বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে ঘটনাস্থলেই মাঠে নামি। ভোরে নানা জায়গা থেকে তাদের গ্রেফতার করি।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকায় খুন হন এমইএস কলেজের ডিগ্রির ছাত্র ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া। তার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলা শীলঘাটা এলাকায়।

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয়

পরলোকে শুদ্ধানন্দ থের

You cannot copy content of this page

দামি ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতেই শাওন বড়ুয়াকে হত্যা

আপডেট সময় ০৭:৪২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একটি বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরেই চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ। শাওন হত্যার একদিন পরই বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ৫ আসামিকে কৌশলে গ্রেফতার করা হয়। মূলত এরা ৫ জন মিলে শাওনের দামি ক্যামেরা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ক্যামেরা না দেয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি ইমন বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছে নিহত ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়ার কাছে। মূলত এই ছবির সূত্র ধরেই বিস্তৃত তদন্ত থেকে উদঘাটন করা হলো চাঞ্চল্যকর হতাকাণ্ডের রহস্য।

পুলিশ জানায়, পাঁচ আসামি মুরাদ, তৌহিদ, বাহার, আলমগীরকে নিয়ে আরশাদুল আলম ইমন পরিকল্পনা করে। উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফার শাওনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার। শাওনের ফেসবুক পেইজ থেকে নাম্বার নিয়ে বিকাশে ৫০০ টাকা অগ্রিম পাঠায়। আসতে বলে চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই এলাকায়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে অনন্যা আবাসিক এলাকায় গেলে তার মোটরসাইকেল আটকে দামি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। না দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে প্রধান আসামি ইমতিয়াজ আলম মুরাদ শাওনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে সবাই ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার পঙ্কজ দত্ত জানান, তাদের সবার উদ্দেশ্য ছিল ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া। কিন্তু ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে খুন হয় শাওন। তবে ছুরি দিয়ে ৬টি আঘাত করেছে মুরাদ।

ঘটনার পর পরই তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ। বুধবার ভোরে নগরীর কাপ্তাই থেকে প্রথমে ইমনকে। পরে তার দেখানো পথ ধরে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয় নানা জায়গা থেকে।

চান্দগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছাবেদ আলী বলেন, আমরা বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে ঘটনাস্থলেই মাঠে নামি। ভোরে নানা জায়গা থেকে তাদের গ্রেফতার করি।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকায় খুন হন এমইএস কলেজের ডিগ্রির ছাত্র ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া। তার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলা শীলঘাটা এলাকায়।