০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লার দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০৩:২৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
  • ৬২৩ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ী প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার ঐতিহাসিক স্থাপনাসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ। কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কোটবাড়ীতেই রয়েছে ঐতিহাসিক শালবন বৌদ্ধ বিহার। তার কাছেই আধুনিককালে ১৯৯৫ সালে নির্মিত হয়েছে নব শালবন বিহার। প্রাচীন শালবন বিহারের প্রাণস্পন্দন ইতিহাসের বিস্মৃতির তলায় হারিয়ে গেলেও নব শালবন বিহার নতুন কালের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শিক্ষায়তন তথা উপাসনালয় হিসেবে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর।

এ নব শালবন বিহারেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা । প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সৌন্দর্যের জন্য পুণ্যার্থীসহ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে আসছে এ দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা।

নব শালবন বিহারে আছে থাইল্যান্ড থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া প্রায় ছয় টন ওজনের এবং ৩০ ফুট উচ্চতার ধাতব বুদ্ধমূর্তি। বিহারের প্রার্থনালয়ের ছাদের ওপর স্থাপন করায় মূর্তিটি অনেক দূর থেকে দেখা যায়।

সোনালি রঙের মূর্তিটিতে সূর্যের আলোকরশ্মি আছড়ে পড়লে দেখতে চমৎকার লাগে। শান্তি প্যাগোডার ধবধবে সাদা ও সোনালি রঙের কাঠামো আর সোনালি বুদ্ধমূর্তি চারপাশ ঝলমল করে তোলে।

বিশ্বশান্তি প্যাগোডায় ওঠার মুখেই রয়েছে সোনালি রঙের নাগরাজের প্রতিমূর্তি। বিশাল বুদ্ধমূর্তির নিচেই দ্বিতীয় তলায় রয়েছে উপাসনালয়।
এর চারপাশে রয়েছে থাইল্যান্ডের প্রচলিত আদলের আরো চারটি মূর্তি। উপাসনালয়ের ওপরের ধাপে আছে চারটি পিতলের চূড়া। নব শালবন বিহার ক্যাম্পাসে আরো রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনালয়, মেডিটেশন সেন্টার, শালবন বিহার স্কুল ও অনাথ আশ্রম, লাইব্রেরি, শালবন বিহার জাদুঘর, সেমিনার হল, অতিথিশালা ও হোস্টেল।

 

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় সভা

কুমিল্লার দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা

আপডেট সময় ০৩:২৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ী প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার ঐতিহাসিক স্থাপনাসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ। কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কোটবাড়ীতেই রয়েছে ঐতিহাসিক শালবন বৌদ্ধ বিহার। তার কাছেই আধুনিককালে ১৯৯৫ সালে নির্মিত হয়েছে নব শালবন বিহার। প্রাচীন শালবন বিহারের প্রাণস্পন্দন ইতিহাসের বিস্মৃতির তলায় হারিয়ে গেলেও নব শালবন বিহার নতুন কালের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শিক্ষায়তন তথা উপাসনালয় হিসেবে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর।

এ নব শালবন বিহারেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা । প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সৌন্দর্যের জন্য পুণ্যার্থীসহ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে আসছে এ দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা।

নব শালবন বিহারে আছে থাইল্যান্ড থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া প্রায় ছয় টন ওজনের এবং ৩০ ফুট উচ্চতার ধাতব বুদ্ধমূর্তি। বিহারের প্রার্থনালয়ের ছাদের ওপর স্থাপন করায় মূর্তিটি অনেক দূর থেকে দেখা যায়।

সোনালি রঙের মূর্তিটিতে সূর্যের আলোকরশ্মি আছড়ে পড়লে দেখতে চমৎকার লাগে। শান্তি প্যাগোডার ধবধবে সাদা ও সোনালি রঙের কাঠামো আর সোনালি বুদ্ধমূর্তি চারপাশ ঝলমল করে তোলে।

বিশ্বশান্তি প্যাগোডায় ওঠার মুখেই রয়েছে সোনালি রঙের নাগরাজের প্রতিমূর্তি। বিশাল বুদ্ধমূর্তির নিচেই দ্বিতীয় তলায় রয়েছে উপাসনালয়।
এর চারপাশে রয়েছে থাইল্যান্ডের প্রচলিত আদলের আরো চারটি মূর্তি। উপাসনালয়ের ওপরের ধাপে আছে চারটি পিতলের চূড়া। নব শালবন বিহার ক্যাম্পাসে আরো রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনালয়, মেডিটেশন সেন্টার, শালবন বিহার স্কুল ও অনাথ আশ্রম, লাইব্রেরি, শালবন বিহার জাদুঘর, সেমিনার হল, অতিথিশালা ও হোস্টেল।