০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কথাসাহিত্যিক ও প্রকৃতিপ্রেমিক বিপ্রদাশ বড়ুয়া

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩
  • ৯১৩ বার পড়া হয়েছে

কথাসাহিত্যিক ও প্রকৃতিপ্রেমিক বিপ্রদাশ বড়ুয়ার জন্ম ১৯৪০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি গ্রামে। তাঁর বাবা অরুণ কুমার বড়ুয়া ছিলেন ডাক্তার এবং মায়ের নাম সুষমা বড়ুয়া গৃহিণী।

বিপ্রদাশ ১৯৫৮ সালে সরকারি রাঙামাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি এবং পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে বিপ্রদাশ বড়ুয়া শিশু একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

 

তিনি গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন ছোট-বড় সবার জন্য। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘অচেনা’। এছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—উপন্যাস : ‘ভয় ভালোবাসা নির্বাসন’, ‘মুক্তিযোদ্ধারা’, ‘শ্রমণ গৌতম’ , ‘ইয়াসমিন’, ‘অশ্রু ও আগুনের নদী’। ছোটদের জন্য তাঁর লেখা   উপন্যাসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রোবট ও ফুল ফোটানোর রহস্য’, ‘জাদুমানিক স্বাধীনতা’, ‘রাতের রেলগাড়িতে ছায়াপথে ভ্রমণ’; ছোটগল্প : ‘যুদ্ধজয়ের গল্প’, ‘গাঙচিল’, ‘স্বপ্নমিছিল’, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করি’, ‘বনের ভেতরে অদ্ভুত রেস্তোরাঁ’ ; প্রবন্ধ গ্রন্থ: ‘কবিতায় বাক্প্রতিমা’; নাটক : ‘কুমড়োলতা ও পাখি’। শিশুদের জন্য লিখেছেন ‘সূর্য লুঠের গান’ , ‘বাঘের উপর টাগ’; জীবনী : ‘বিদ্যাসাগর’ , ‘পল্লীকবি জসীমউদ্দীন’ ইত্যাদি। তাঁর প্রকৃতিবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কাছের পাখি দূরের পাখি’, ‘পাখির ভুবন’। শুধু তাই নয় ভ্রমণকাহিনীর লেখক হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে বিপ্রদাশ বড়ুয়ার। তাঁর ভ্রমণ-গ্রন্থ ‘অপরূপ মায়ানমার’, ‘মায়াবী জাপান’, ভূস্বর্গ ভ্রমণ : ‘বাংলাদেশ’ পাঠক সমাদৃত হয়।

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তিনবার অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর পাওয়া আরো পুরস্কারের মধ্যে কথাশিল্পী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), আন্তর্জাতিক যুববর্ষ পদক (১৯৮৫) ও অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক (১৯৯৭) উল্লেখযোগ্য।

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

কথাসাহিত্যিক ও প্রকৃতিপ্রেমিক বিপ্রদাশ বড়ুয়া

আপডেট সময় ০৩:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

কথাসাহিত্যিক ও প্রকৃতিপ্রেমিক বিপ্রদাশ বড়ুয়ার জন্ম ১৯৪০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি গ্রামে। তাঁর বাবা অরুণ কুমার বড়ুয়া ছিলেন ডাক্তার এবং মায়ের নাম সুষমা বড়ুয়া গৃহিণী।

বিপ্রদাশ ১৯৫৮ সালে সরকারি রাঙামাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি এবং পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে বিপ্রদাশ বড়ুয়া শিশু একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

 

তিনি গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন ছোট-বড় সবার জন্য। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘অচেনা’। এছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—উপন্যাস : ‘ভয় ভালোবাসা নির্বাসন’, ‘মুক্তিযোদ্ধারা’, ‘শ্রমণ গৌতম’ , ‘ইয়াসমিন’, ‘অশ্রু ও আগুনের নদী’। ছোটদের জন্য তাঁর লেখা   উপন্যাসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রোবট ও ফুল ফোটানোর রহস্য’, ‘জাদুমানিক স্বাধীনতা’, ‘রাতের রেলগাড়িতে ছায়াপথে ভ্রমণ’; ছোটগল্প : ‘যুদ্ধজয়ের গল্প’, ‘গাঙচিল’, ‘স্বপ্নমিছিল’, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করি’, ‘বনের ভেতরে অদ্ভুত রেস্তোরাঁ’ ; প্রবন্ধ গ্রন্থ: ‘কবিতায় বাক্প্রতিমা’; নাটক : ‘কুমড়োলতা ও পাখি’। শিশুদের জন্য লিখেছেন ‘সূর্য লুঠের গান’ , ‘বাঘের উপর টাগ’; জীবনী : ‘বিদ্যাসাগর’ , ‘পল্লীকবি জসীমউদ্দীন’ ইত্যাদি। তাঁর প্রকৃতিবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কাছের পাখি দূরের পাখি’, ‘পাখির ভুবন’। শুধু তাই নয় ভ্রমণকাহিনীর লেখক হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে বিপ্রদাশ বড়ুয়ার। তাঁর ভ্রমণ-গ্রন্থ ‘অপরূপ মায়ানমার’, ‘মায়াবী জাপান’, ভূস্বর্গ ভ্রমণ : ‘বাংলাদেশ’ পাঠক সমাদৃত হয়।

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তিনবার অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর পাওয়া আরো পুরস্কারের মধ্যে কথাশিল্পী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), আন্তর্জাতিক যুববর্ষ পদক (১৯৮৫) ও অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক (১৯৯৭) উল্লেখযোগ্য।