০৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল শুভ অমাবস্যা তিথি

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় ০৬:০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

আগামীকাল শুভ অমাবস্যা তিথি ।

২৫৬৭ বুদ্ধাব্দের ত্রৈমাসিক বর্ষাবাসের একাদশ, উপোসথ পবিত্র অমাবস্যা তিথি ।  ১৪ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ, ২৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শনিবার শুক্রবার রাত্রি ০৯টা ৫৬ মিঃ হতে শনিবার রাত্রি ১১টা ১৯ মিঃ পর্যন্ত।

এ পবিত্র দিনে সবে হয়ে একত্রিত, বুদ্ধ পূজা দান শীলে হয়ে একচিত। বুদ্ধের আদর্শ নীতি করিয়া পালন, অচিরে লভিতে যেন পারি মোক্ষধন। মহাকারুণিক বুদ্ধ দেশনা করেছেন, ইহলোকে প্রাণীদের যে পাপ ময়লা গঙ্গা, যমুনা, সরভূ, নিম্নগা, অচিরবতী, মহী অথবা মহানদী বিশুদ্ধ করতে পারে না, সে পাপ ময়লা একমাত্র শীল জলই পবিত্র করতে পারে। মিলিন্দ প্রশ্নে বর্ণিত হয়েছে- “পতিট্ঠালক্খনং সীলং সব্বেসং কুসলানং ধম্মানং”। অর্থাৎ, সমস্ত কুশল ধর্মের প্রতিষ্ঠা বা ভিত্তির লক্ষণ হল শীল। যেমন, পৃথিবীরূপ মাটিকে কেন্দ্র করেই আমরা যাবতীয় কর্ম সম্পাদন করি। তেমনি শীলরূপ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েই আমাদের যাবতীয় কুশল কর্ম সম্পাদন করা উচিত। এ অর্থে, আমাদের সমস্ত কুশল কর্মের ভিত্তি হল শীল পালন। তাই এ পবিত্র পূণ্যময় তিথিতে আমাদের সকলেরই পঞ্চশীল, উপোসথ শীল গ্রহণ ও প্রতিপালন করা উচিত এবং বর্ষাবাসকালীন তিনমাসের সবকটি উপোসথ প্রতিপালনের মনস্থিরপূর্বক দৃঢ়তার সাথে কুশল কর্ম করা প্রয়োজন। চাকরী বা বিভিন্ন কারণে যাদের পুরো দিবস উপোসথ শীল প্রতিপালন করা সম্ভব হয় না, তারা অর্ধ-উপোসথ শীল হলেও প্রতিপালনের মনস্থির করতে পারেন।

জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।

 

শেয়ার করুন
আরও সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয়

সুহৃদ চৌধুরী শুধু মানুষ গড়ার কারিগর নয়, ছিলেন একজন সমাজহিতৈষী ও দক্ষ সংগঠক

You cannot copy content of this page

আগামীকাল শুভ অমাবস্যা তিথি

আপডেট সময় ০৬:০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

আগামীকাল শুভ অমাবস্যা তিথি ।

২৫৬৭ বুদ্ধাব্দের ত্রৈমাসিক বর্ষাবাসের একাদশ, উপোসথ পবিত্র অমাবস্যা তিথি ।  ১৪ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ, ২৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শনিবার শুক্রবার রাত্রি ০৯টা ৫৬ মিঃ হতে শনিবার রাত্রি ১১টা ১৯ মিঃ পর্যন্ত।

এ পবিত্র দিনে সবে হয়ে একত্রিত, বুদ্ধ পূজা দান শীলে হয়ে একচিত। বুদ্ধের আদর্শ নীতি করিয়া পালন, অচিরে লভিতে যেন পারি মোক্ষধন। মহাকারুণিক বুদ্ধ দেশনা করেছেন, ইহলোকে প্রাণীদের যে পাপ ময়লা গঙ্গা, যমুনা, সরভূ, নিম্নগা, অচিরবতী, মহী অথবা মহানদী বিশুদ্ধ করতে পারে না, সে পাপ ময়লা একমাত্র শীল জলই পবিত্র করতে পারে। মিলিন্দ প্রশ্নে বর্ণিত হয়েছে- “পতিট্ঠালক্খনং সীলং সব্বেসং কুসলানং ধম্মানং”। অর্থাৎ, সমস্ত কুশল ধর্মের প্রতিষ্ঠা বা ভিত্তির লক্ষণ হল শীল। যেমন, পৃথিবীরূপ মাটিকে কেন্দ্র করেই আমরা যাবতীয় কর্ম সম্পাদন করি। তেমনি শীলরূপ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েই আমাদের যাবতীয় কুশল কর্ম সম্পাদন করা উচিত। এ অর্থে, আমাদের সমস্ত কুশল কর্মের ভিত্তি হল শীল পালন। তাই এ পবিত্র পূণ্যময় তিথিতে আমাদের সকলেরই পঞ্চশীল, উপোসথ শীল গ্রহণ ও প্রতিপালন করা উচিত এবং বর্ষাবাসকালীন তিনমাসের সবকটি উপোসথ প্রতিপালনের মনস্থিরপূর্বক দৃঢ়তার সাথে কুশল কর্ম করা প্রয়োজন। চাকরী বা বিভিন্ন কারণে যাদের পুরো দিবস উপোসথ শীল প্রতিপালন করা সম্ভব হয় না, তারা অর্ধ-উপোসথ শীল হলেও প্রতিপালনের মনস্থির করতে পারেন।

জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।