নতুন ও পরিবর্তিত জীবনের জন্য সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য’ এ দর্শনচর্চার মধ্যে দিয়ে অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে ‘বেণীমাধব ও ফণীভূষণ স্মারক বক্তৃতামালা’র চতুর্দশ আবর্তন ও বৌদ্ধ একাডেমী পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ বৌদ্ধ একাডেমীর সভাপতি ইউএসটিসির প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বাংলা ভাষার স্বরূপ সন্ধান ঔপনিবেশিক কৃতী, রবীন্দ্রনাথের বাংলা শব্দতত্ত্ব, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী–আবিস্কৃত চর্যাপদ এবং অতঃপর’ শীর্ষক বেনীমাধব ও ফণীভূষণ স্মারক বক্তৃতা করেন সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইলু ইলিয়াস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন – চট্টগ্রাম সরকারী চারুকলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রীতা দত্ত , সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ, এম, এম মুজিবুর রহমান , ডা. বসুবন্ধু বড়ুয়া ,রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া ।
অনুষ্ঠানে প্রাজ্ঞজনের কর্ম-কৃতির স্বীকৃতিরূপে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম, এ মালেক, প্রফেসর ড. বেনু প্রসাদ বড়ুয়া,রম্য লেখক সত্যব্রত বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. সুমঙ্গল বড়ুয়া, অধ্যাপক শিশির কুমার বড়ুয়া, প্রফেসর ডা. উজ্জ্বল কান্তি দাশকে বাংলাদেশ বৌদ্ধ একাডেমী পুরষ্কার ২০১৮, ২০২২ প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন, যাদের সম্মাননা জানানো হল, তাঁরা প্রকৃতই গুণী। কেবল চট্টগ্রামেই নয়, সারাদেশের জন্যই তাঁরা গুণী, সম্মানিত। এজন্য আয়োজক সংগঠনকে ধন্যবাদ জানাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী উদ্ধৃত করে ড. অনুপম সেন বলেন, বুদ্ধ তাঁর বাণীতে বলেছেন– বৈরিতাকে বৈরি দিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে হয়। অর্থাৎ সংঘাত নয়, প্রেম দিয়েই শক্রতাকে জয় করতে হবে। আজকের দিনে বুদ্ধের এই বাণী বড়ই প্রাসঙ্গিক ও খুবই জরুরি। সারগর্ভ স্মারক বক্তৃতারও প্রশংসা করেন তিনি।
অ্যাডভোকেট জিকো বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর মহাসচিব সুজন কুমার বড়ুয়া, একাডেমির অর্থ সচিব তুষার কান্তি বড়ুয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।